
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিক্ষক পরিচয় দিয়ে এলাকায় থাকত সে। সঙ্গে ছিল কিছু ছোটখাটো ব্যবসা। একটি বাইকে করেই ঘুরে বেড়াত এদিক ওদিক। এভাবেই কেটেছে ১৩ বছর। কে জানত, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা-সহ সীমান্তের ওপারে একাধিক নাশকতার ঘটনায় জড়িত বদরুজ্জামান বিলাসক নামের ওই যুবক! সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট থেকে শেষমেশ গ্রেফতার হয়েছে সে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বদরুজ্জামান আদতে সাতক্ষীরার (Bangladesh) বাসিন্দা। তাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত সেখানকার বিরোধী দল বিএনপি-র সঙ্গে যুক্ত বলে বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বসিরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সস্ত্রীক দিন কাটাচ্ছিল বদরুজ্জামান। শিক্ষক হিসেবে সম্মানও পেত। তাকে বাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ওই এলাকারই দালাল। ভুয়ো ভোটার ও আধার কার্ড ছিল তার। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের পরে বর্ধমানের এক তরুণীর সঙ্গে ঘরও বাঁধে বদরুজ্জামান। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দিব্যি যেত দুজনে। মাঝেমাঝে বসিরহাট থেকে বর্ধমানে শ্বশুরবাড়ি যেত তারা, বাইকে চেপেই।
আচমকাই খবর পেয়ে বদরুজ্জামানের বসিরহাটের ডেরায় হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নিশ্চিত করতে তার ছবি পাঠানো হয় বাংলাদেশে (Bangladesh)। সীমান্তের ওপার থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই গ্রেফতার করে পাঠানো হয় বাংলাদেশে।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকায় আওয়ামি লিগের সভায় পরপর গ্রেনেড হামলা ঘটেছিল। ২৪ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা ছিলেন সেই হামলার টার্গেট। তিনিও আহত হন। ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উঠে আসে বাংলাদেশের তৎকালীন দল বিএনপি এবং জামাতের বেশ কয়েকজনের নাম। বদরুজ্জামান তাদেরই একজন।
আওয়ামি লিগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে, প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এর পরে হামলায় যুক্ত অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। বসিরহাটে লুকিয়ে থাকা বদরুজ্জামান তাদের মধ্যে অন্যতম। এ বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ পুলিশ এই তথ্য জানতে পারে। অনেকদিন ধরেই তারা বদরুজ্জামানের খোঁজ করছিল। এর পরেই ঢাকার তরফে যোগাযোগ করা হয় এপারের গোয়েন্দাদের সঙ্গে। শেষমেশ জালে ধরা পড়ল অপরাধী।
বউকে গলা টিপে খুন, মরেছে কিনা নিশ্চিত করতে বিষও, গোটা শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক