দ্য ওয়াল ব্যুরো: সদ্য সমাপ্ত আর্থিক বছরে বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানত এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ৩২ শতাংশ। ব্যাঙ্কের মোট আমানতের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৫৭,০৭৩ কোটি টাকা।
সোমবার বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি লকডাউনের কারণেও তাদের মাইক্রোব্যাঙ্কিং ব্যবসায় কোনও আঁচ পড়েনি। বরং এই পরিস্থিতিতে মাইক্রোব্যাঙ্কিং ব্যবসাতেই আমানত ঠিক মতো জমা পড়ছে। তা স্থিতিশীল এবং মজবুতও বটে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত গোটা দেশে তাদের মাইক্রোব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আমানত জমার হার আগের তুলনায় ৯৮.৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানই স্থিতিশীলতার বার্তা দিচ্ছেন বলে তাঁদের বক্তব্য।
গত অক্টোবর মাসেই বন্ধন ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে গিয়েছে গ্রুহ ফিনান্স। ব্যাঙ্কের তরফে সোমবার আরও জানানো হয়েছে, তাদের মোট আমানতের ৭৮.৪ শতাংশই হল রিটেল ডিপোজিট। গত আর্থিক বছরে যা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৩১ মার্চ ২০২০ যার আয়তন ছিল ৪৪,৭৬০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, গত আর্থিক বছরের শেষে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট আমানতের আয়তন ছিল ৪২ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। সেই সময়ে ব্যাঙ্কের রিটেল ডিপোজিটের আয়তন ছিল ৩৩ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।
সোমবার বন্ধন ব্যাঙ্ক তাদের রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে আরও জানিয়েছে যে তাদের দেওয়া ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণও গত আর্থিক বছরে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। হিসেব মতো ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ঋণ ও অগ্রিম ৬০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের শেষে যা ছিল ৪৪ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।
ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, “গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ব্যাঙ্কের কাছে অতিরিক্ত নগদের জোগান (এক্সেস লিক্যুইডিটি) রয়েছে ৮ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। তা ছাড়া ব্যাঙ্কের ব্যবসা এখন যে অবস্থায় রয়েছে তাতে এমএসএফ খাতে আরও ১৮১৫ কোটি টাকা তুলতে পারে বন্ধন।” এমএসএফের অর্থ হল, মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি। কোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক রাতারাতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে যে পরিমাণ টাকা তুলতে পারে তাকে এমএসএফ বলা হয়।