
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরও একজনকে গ্রেফতার (Bagtui Arrest) করল পুলিশ। রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই (Bagtui) গ্রামে ৮ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আারুলের পরে এবার গ্রেফতার করা হল ভাদু শেখের শ্যালক রাজেশ শেখকে। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে তার, এমনটাই অভিযোগ।
জানা গেছে, গতকাল রাতেই ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রাজেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে তোলা হবে আজই। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বগটুইয়ে গিয়ে ঘটনার তদন্তের কড়া নির্দেশ দেওয়ার পরেই নজিরবিহীন নিরাপত্তা গোটা এলাকায়। রাতভর সেখানে পাহারা দিয়েছেন ৫৮ জন পুলিশকর্মী। রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য নিজে পুরো নিরাপত্তার তদারকি করেছেন। আজই সেখানে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল।
ইতিমধ্যে রামপুরহাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শাস্তির কোপে পড়েছেন এসডিপিও। সিটের তদন্ত চলছে নিয়ম মেনে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই চলছে পুলিশি কর্তব্য। গতকাল বগটুইতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনারুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ইমিডিয়েট আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। ও সব জানত। তবু পুলিশকে খবর দেয়নি। দায়িত্ব পালন করেনি। আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে এমনভাবে ‘কেস সাজাতে’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যাতে কোনওভাবে তিনি জামিন না পেয়ে যান।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দেখা যায় আনারুলের বগটুইয়ের বাড়ি পৌঁছে গেছে পুলিশ। কিন্তু সেখানে আনারুল ছিলেন না। তারপর দেখা যায় সেই বাড়ির সামনে জমায়েত করেছেন আনারুলেন অনুগামীরা। সকলের মুখে একটাই কথা, আমাদের মতো দশ হাজার ছেলেকে গ্রেফতার করে তবে দাদাকে ছোঁয়া যাবে। সহজে আনারুলকে ধরতে দেবেন না অনুগামীরা যেন সেকথাই বোঝাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তারাপীঠ থেকে ধরা পড়ে রামপুরহাটের ব্লক সভাপতি।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার পরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, এই তৃণমূল ব্লক সভাপতির কথায় কি তাহলে এলাকার পুলিশ প্রশাসন চলত! এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে কিনা, সময়ই বলতে পারবে।
গ্যাংস অফ রামপুরহাট! বখরার লড়াই, বদলার আগুন, ত্রস্ত রেখেছে ছবির মতো গ্রামকে