
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আসানসোলের (Asansol Murder) রূপনারায়ণপুর এলাকায় দু’বছর আগে মারা গিয়েছিলেন শেফালি রায় নামের বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধা। সেসময় এই ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছিল। অবশেষে এই ঘটনায় জড়িত থাকায় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক যুবক। ধৃত ওই যুবকের নাম করণ দাস।
শুক্রবার রাতে রূপনারায়ণপুরের পশ্চিম রাঙামাটির হরিজন বস্তি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুলদেব মণ্ডল। অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ জানতে পারে, করণ দাস ওই বৃদ্ধার বাড়িতে কাজ করত। সে রাগের বসে গলা টিপে ওঁকে হত্যা করেছে (Asansol Murder)।
২০২০ সালের ২০ মার্চ সকাল ১১টা নাগাদ ঘরের মধ্যে থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় শেফালি রায়। এরপরই রাঁচিতে থাকা মৃত বৃদ্ধার ভাই শঙ্করচন্দ্র রায় পুলিশের কাছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তভার দেওয়া হয় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর শোভন সাহার হাতে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া তিনি বিষয়টির বিশেষ অগ্রগতি ঘটাতে পারেননি। এরপর এই মৃত্যু তদন্তের ভার পান রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল দেব মণ্ডল।
গন্ধেশ্বরী নদীর চরে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীসভা ঘিরে বাঁকুড়ায় বিতর্ক
প্রথমেই তিনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানতে পারেন ওই বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, ওই বাড়ির কাজের লোক করণ দাস বৃদ্ধার মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক। যদিও এই মৃত্যু নিয়ে বিশেষ কোনও আলোড়ন না ওঠায় পরে সে এলাকায় ফিরে আসে। পশ্চিম রাঙামাটির হরিজন বস্তিতে থাকতে শুরু করে।
এরপরই গোপন সূত্রে তার ফেরার খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর করণ স্বীকার করে, সে রাগের বশে শেফালী রায়ের গলা টিপে খুন করেছে। শনিবার অভিযুক্তকে পুলিশ আসানসোল আদালতে তোলে।