
বুধবার কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৩ জন। এদিন দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬০৬। বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪৯। মারা গিয়েছেন আরও চারজন। এই নিয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তা লভ আগরওয়াল বলেন, “আমরা লক্ষ করেছি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার কমেছে। তা বলে কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আক্রান্তের হার কমলেও যাঁরা কোয়ারান্টাইনে আছেন, তাঁদের অবস্থা মনিটর করা হবে। মানুষকে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তাঁদের জানাতে হবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কোনও ঘাটতি নেই। তাঁরা যেন দোকানে ভিড় না করেন।”
বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপত্যকায় এটা প্রথম মৃত্যু হলেও করোনার কোপে এই নিয়ে গুজরাতে বলি হয়েছেন ৩ জন, আর মহারাষ্ট্রে ৪ জন। এছাড়াও মৃত্যু হয়েছে দুই বিদেশি নাগরিকের। তাঁদের মধ্যে একজন ইতালীয় পর্যটক, যাঁর মৃত্যু হয়েছিল জয়পুরে। দ্বিতীয়জন ফিলিপিন্সের বাসিন্দা, তাঁর মৃত্যু হয়েছে মুম্বইতে। বুধবার রাতে জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদে আক্রান্ত হয়েছে এক তিন বছরের শিশু। দেশের সর্বকনিষ্ঠ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই শিশু সদ্যই সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিল বলে খবর।
করোনার সংক্রমণ প্রথম মহামারী হয়ে চিনে। হুবেই প্রদেশে শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে চিনের মূল ভূখণ্ডে। তবে সেই সঙ্কট একটু একটু করে কাটিয়ে উঠেছে চিন। নতুন করে সংক্রামিতের সংখ্যা হাতে গোনা। চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, ‘লোকাল ট্রান্সমিশন’ কমেছে হুবেই প্রদেশে। হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভিড় কমেছে রোগীদের। দীর্ঘদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ ট্রাভেল অ্যাডভাইসারি জারি করে হুবেই প্রদেশে যাতাযাতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, সোমবারের পর থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার। চিনের মূল ভূখণ্ডের একাধিক প্রদেশেও নিষেধাজ্ঞার রাশ আলগা হয়েছে। চিনে এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩,২৭৭ জনের। সংক্রামিত ৮১,১৭১ জন। নতুন করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে ৭৮ জনের শরীরে। তাও তাঁদের মধ্যে অনেকেরই সেরে ওঠার সম্ভাবনা আছে।