
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক পা ভেঙে গেছে। মুখ থুবড়েই পড়েছিল বুড়ো হাতি (old elephant) মতি। অথচ একদিন তার চালচলন ছিল রাজকীয়। তাকে দেখে ভয়ও পেত সকলে। সেই মতিই আজ মৃতপ্রায়। তাকে ফের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা।
মতিকে দাঁড় করাতেই হবে। ভাঙা পায়ের জায়গায় নকল পায়ের মতো কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেটা লাগিয়ে মতিকে চলাফেরা করানোর চেষ্টা করছেন সেনারা। কিন্তু মতি তো আর মানুষ নয়, যে নকল পা বসিয়ে দিলেই সে সব বুঝে চলতে শুরু করবে। তার জন্য হাতিকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে কোমর বেঁধে নেমেছেন ৩৮ জন সেনা জওয়ান। দিবারাত্র মতির দেখাশোনা, চিকিৎসা চলছে।

রুরকির বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ অ্যান্ড সেন্টারের জওয়ানেরা বন্যপ্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় নেমেছেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনীশ শ্রীবাস্তব বলছেন, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের জওয়ানেরা বন্য়প্রাণ রক্ষার দায়িত্ব সামলায়। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে এই গ্রুপ। মতি নামে এই হাতিটিকে বাঁচানোর আর্জি আসে। এরপরেই কালবিলম্ব না করেই সেনাদের একটি টিম পৌঁছে যায় সেখানে।
দিল্লির চিড়িয়াখানায় মৃত্যু হল সাদা বুড়ি বাঘিনীর, কী রোগ হয়েছিল
ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (DFO) প্রকাশ আর্য বলছেন, ২০২০ সালে হাতিটিকে প্রজননের জন্য বিহার থেকে রামগড়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু হাতির মালিক খুন হয়ে যান। হাতিটিও জখম হয়। একটা পা ভেঙে যায়। এরপর হাতিটি না খেতে পেয়ে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে। পায়ের জখমও বাড়তে থাকে। স্থানীয় পশুপ্রেমী সংস্থা থেকে ইমরান খান নামে একজন পশু বিশেষজ্ঞ হাতিটির দেখাশোনা করছিলেন। কিন্তু হাতিটিকে চলাফেরা করাতে আরও বড় উদ্যোগ নিতে হত। তিনিই দেহরাদূনে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপ অ্যান্ড সেন্টারে চিঠি লিখে হাতিটিকে বাঁচানোর আর্জি জানান। এই চিঠি পেয়েই ছুটে আসেন জওয়ানেরা।
মতি এখন অনেকটা সুস্থ। নকল পা দিয়েই তাকে হাঁটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন জওয়ানেরা।