
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত অগস্টে গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে কেষ্টর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেও তাঁর জেলা বীরভূমে যাননি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার সেই বীরভূমে যাচ্ছেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এদিনই আবার কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানি রয়েছে রাজধানীর হাইকোর্টে। এই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। নিম্ন আদালত অনুমতি দিলেও হাইকোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই মামলার দিন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল। আজ দিন ধার্য করা হয়েছে।
কৌতূহল হল, মমতা অনুব্রতর জেলায় যখন থাকবেন তখন এই মামলায় রায় দিতে পারে দিল্লি হাইকোর্ট।

মমতার বীরভূম সফরে এবার একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে গোটা জেলাজুড়ে। তা হল কোনও হোর্ডিংয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি নেই। যা অনেকের কাছেই অন্যরকম ঠেকেছে। অনেকের প্রশ্ন, এভাবে কি অনুব্রতকে বাদ দেওয়ার বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল? নাকি দিল্লি হাইকোর্টের মামলার সময়ের কথা ভেবে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডল যে এক নন তা মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ১৪ অগস্ট। পার্থর কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই দিদি বলেছিলেন, অনুব্রতকে বীরের সংবর্ধনা দিয়ে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। পরে এও বলেছিলেন, ‘কী করেছে কেষ্ট?’
কিন্তু এখন পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে। অনুব্রত এখনও জেলা সভাপতি। জেলবন্দি জেলা সভাপতির পক্ষে ভোট করা যে সম্ভব নয় তা তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছেও স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয়, মমতা বীরভূম সফরে গিয়ে জেলা সংগঠন দেখার বিষয়ে কেষ্টর বদলে কাউকে দায়িত্ব দেন কিনা।
বরফ পড়ছে হু হু করে, খোলা আকাশের নীচে অনশনে লাদাখের ‘র্যাঞ্চো’! কী বললেন নতুন ভিডিও বার্তায়