
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: ছাড়া পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ফের তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। মেয়াদ শেষে তাঁকে শুক্রবার সকালে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়েছিল। এদিন সিবিআইয়ের (CBI) কেস ডায়েরি দেখে চমকে যান বিচারক।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের কেস ডায়রি দেখে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, “আমার ২০ বছরের চাকরি জীবনে এমন বিষয় দেখিনি!” যদিও কেস ডায়েরিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী লিখেছে জানা যায়নি। পরে গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, “এটা শুধু ট্রেলর, আসল সিনেমা বাকি আছে!” তিনি জানান ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত জামিন মামলার শুনানির সময় গোটা কেস ডায়েরিতে কী ছিল তা প্রকাশ্যে আনবে সিবিআই।
যদিও ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কেষ্ট ঘনিষ্ঠরা। উল্লেখ্য, ওইদিন দেশের প্রথম সারির আইনজীবী কপিল সিব্বলের অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করার কথা।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠের জমির দলিল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। সিবিআই এই দলিল দুটো বাজেয়াপ্ত করেছিল। পাশাপাশি অনুব্রতর আইনজীবীরা তাঁর মোবাইল ফেরত চাইলে সিবিআই জানায়, ফরেনসিক ল্যাব থেকে চলে এসেছে। তদন্ত চলছে। পরে ফেরত দেওয়া হবে। তখন বিচারক এই নিয়ে সিবিআইকে পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলেন।
এদিন সকালে কেষ্ট মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। এজলাসে সওয়াল-জবাব শুরুর আগে বীরভূমের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। এইসময় অনুব্রতকে দলীয় প্রতীক দেওয়া বেশ কিছু কাগজে সই করতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় বিভিন্ন সভা-সমিতির অনুমতির কাগজে সই করেন তিনি।
সবমিলিয়ে আরও কিছুদিন জেলেই থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে। তবে বিশেষ জেলা আদালতের বিচারকের এদিনের মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে।