Latest News

বেআইনি কাজের অভিযোগ! স্বাস্থ্য ভবনে জবাব দিয়ে জলপাইগুড়ির অঙ্কুরের বললেন, ‘হাইকোর্টে যাব’

দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: ভুক্তভোগীদের সাহায্য করায় চাপে পড়েছিলেন তিনি। এমনকী থাকতে হয়েছে পুলিশ হেফাজতেও। নিজের অবস্থার কথা জানিয়ে আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) অঙ্কুর দাস (Ankur Das)। কিন্তু তারপর থেকেই নাকি তাঁর সেচ্ছাসেবী সংস্থাকে চাপে রাখতে চাইছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর, এমনই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যাওয়ার কথা জানিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে স্মারকলিপি দিলেন গ্রিন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার অঙ্কুর।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি সেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রীন জলপাইগুড়ির বিরুদ্ধে একটি অর্ডার জারি করে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কী অভিযোগ আনা হয়েছিল অঙ্কুরের সংস্থার বিরুদ্ধে? অর্ডার কপিতে লেখা হয়েছে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়াই স্বল্প মূল্যে ইসিজি এবং রক্ত পরীক্ষা করা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপন সামাজিক মাধ্যমে দিয়েপরিষেবাগুলি চালাচ্ছে। যা ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন বিরুদ্ধ।

শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদীপ দাসকে তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এই অর্ডার কপি স্বাস্থ্য ভবন, জেলাশক সহ অন্যান্য দফতরে পাঠানোর পাশাপাশি একটি কপি গ্রিন জলপাইগুড়িকেও দেওয়া হয়। যদিও গ্রিন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে জানানো হয় যে, তারা এই অর্ডার কপি হাতে পেয়েছে গত ২ ফেব্রুয়ারি। তাই সোমবার তার জবাব দিয়ে জেলা স্বাস্থ্যভবনে আসেন অঙ্কুর।

উল্লেখ্য, এর আগে অঙ্কুর কলকাতায় এসে ইডি দফতরে ১৩ পাতার অভিযোগ দায়ের করে গেছেন অঙ্কুর। সম্প্রতি, জলপাইগুড়ির অ্যাম্বুল্যান্স কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অঙ্কুর দাস ও তার সংস্থার। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন ছেলে। সেই পরিবারকে নিজেদের সংস্থার থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অঙ্কুর।

কিন্তু তারপরই অঙ্কুরের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গারদের ওপারে রাতও কাটান তিনি। এরপর নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ফের একবার অঙ্কুরের বিরুদ্ধে বেআইনি কাজকর্ম করার অভিযোগ তুলল স্বাস্থ্য দফতর। সেই অভিযোগ নিয়ে অঙ্কুর বলেন, তাঁর সংস্থা সরাসরি ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা জাতীয় পরিষেবা দেয় না। কোনও দুস্থ মানুষ যদি তাদের কাছে এই জাতীয় পরিষেবা চায় তখনই তারা শহরের রেজিস্ট্রার ল্যাবরেটরিগুলির থেকে এই পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

এই ঘটনা নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদার জানিয়েছেন, একটি বিজ্ঞপ্তি দেখেই গ্রিন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন পাশাপাশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রিন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংস্থা তার উত্তর দিয়ে গেছে। এবার স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্ট পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নবান্ন নামল জমি তল্লাশিতে, শিল্পের জন্য বেসরকারি জায়গাও খোঁজার নির্দেশ

You might also like