
থানায় সাবির অভিযোগ করেন যে, গত মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ একটি ফোন আসে। অচেনা নম্বরের ফোন। ফোনে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, যদি সিবিআই তদন্ত চায়, তাহলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
আনিসের পরিবারের আরও দাবি, বৃহস্পতিবারও একটি ফোন আসে। তখন তাঁরা থানায় ছিলেন। ফোনে ক্ষমা চাওয়া হয়। বলা হয়, ভুল করে ফোন গেছে। অভিযোগের সময় দুটি ফোন নম্বরই থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি ফোনই আসে ভিওআইপি-র মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ আনিসের দেহ কবর থেকে চুরি করতে এসেছিল পুলিশ, দাবি বৃদ্ধ বাবার
প্রসঙ্গত, আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের সমাধানের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। সিটের সদস্যরা তদন্তে নেমেছেন। ইতিমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং অন্যজন সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য।
যদিও গতকাল উলুবেড়িয়া কোর্টে টিআই প্যারেডের সময় অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেননি আনিস খানের বাবা। জানান, যাকে শনাক্ত করার কথা সে উপস্থিত ছিল না সেখানে। অন্যদিকে, এদিন সকালেই আনিস খানের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনতে গিয়েছিল পুলিশ ও সিট। সেখানে তাঁদের বাধার মুখে পরতে হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে সিটের সঙ্গে সহযোগিতা করলেও, এখনও ‘সিবিআই তদন্তে’ অনড় আনিস খানের পরিবার। তার মধ্যেই এই অচেনা নম্বরে ফোন ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।