
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার আমতার নিহত ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পুলক রায় (Anis Boby)। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে রাস্তা থেকেই ফিরতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে। শনিবার তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ববি হাকিম। কলকাতার মেয়রের সেই প্রতিক্রিয়া নিয়েও নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কাউন্সিলারের স্বামীর
শুক্রবার ছিল আনিসের মৃত্যুর ৪১তম দিন। সেদিন আনিসের বাড়ির অদূরেই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির উদ্যোগে ধর্মীয় সভা হচ্ছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে স্থানীয়রা আটকে দেন ববি, পুলকদের।
এদিন সেইপ্রসঙ্গে ববি বলেন, “আব্বাস সিদ্দিকির মিটিং থেকে দু’চারটে চ্যাংড়া ছেলে ফিরছিল। তারাই ওখানে হই হই করছিল।” এই পর্যন্ত কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু এখানেই থামেননি ববি।
কলকাতার মেয়র বলেন, “আমি মাঝে মাঝে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল দেখি। দেখি, অনেক সময় জঙ্গলে বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার পাশে কুকুর বা হায়নার দল তাকে দেখে চিৎকার করছে। তার মানে এই নয় যে, বাঘ ভয় পেয়ে গিয়েছে। বাঘ তাদের কিছু বলছে না মানে, তাদের ইগনোর করছে। আমিও ওদের ইগনোর করছি।’’
অনেকের মতে, এই প্রসঙ্গে ববি আনিসের গ্রামবাসীদের তুলনা করেছেন কুকুর-হায়নার সঙ্গে। এ ব্যাপারে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা একটা ক্রোনোলজি। মুখ্যমন্ত্রীর যে ভাষার ঐতিহ্য রয়েছে তার উত্তরাধিকার বহন করছেন ববি।” সুজনবাবুর কথায়, “এর আগে ডিএ প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বেশি ঘেউ ঘেউ করবেন না। তারপর বলেছিলেন, হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার। সংখ্যালঘুদের অপমান করে দুধেল গাই বলেছিলেন মাননীয়া। এবার তাঁরই মন্ত্রী গরিব গ্রামবাসীদের কার্যত কুকুর, হায়না বললেন।”
ববিদের যাওয়া নিয়ে আনিসের বাবা বলেছিলেন, টাকা দিয়ে আমায় কিনতে এসেছিল। আমি মাথা বিক্রি করব না। ন্যায় বিচার চাই। এ ব্যাপারে ববি বলেন, “কেউ কিছু কিনতে যায়নি। আর আইনে এ ভাবে কিছু কেনা যায় না। আইনত যাদের দোষ প্রমাণিত হবে, তাদের শাস্তি হবে। আইন দেখে, কে অন্যায় করেছে আর কে করেনি। আদালতে কে চাকরি দিল আর কে টাকা দিল, তার বিচার হয় না। এ সব গল্পকথা।’’