
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেলেব্রিটিদের বাড়ির অন্দরমহল নিয়ে তীব্র আগ্রহ কম বেশি সকলেরই। কে কেমন বাড়িতে থাকেন, সেই ঘর কেমন সাজানো! দেখতে না পারলেও মনে মনে অনেকেই আবার কল্পনা করে নেন। এমন অনেক সেলেব্রিটিই আছেন, যাঁদের একের বেশি বাড়ি। আর প্রতিটা বাড়িই এক একটা কারণে তাঁরা ব্যবহার করেন। জানেন কি?
ভারতবর্ষের অন্যতম আইকন অমিতাভ বচ্চন। মুম্বইতেই তাঁর পাঁচ পাঁচটি বাড়ি। আর সেইসব বাড়ির নামকরণের পিছনে রয়েছে আলাদা আলাদা কাহিনি। কোনওটি স্মৃতিবিজড়িত, আবার কোনওটি কাজের জন্য ব্যবহার করেন তিনি। প্রতিটা বাড়িই তাঁর মনের কাছের। দেখে নিন সেই বাড়ির কাহিনিগুলো-
১. প্রতীক্ষা
অমিতাভ বচ্চনের প্রথম বাড়ির নাম প্রতীক্ষা। জুহুর এই বাংলোই তিনি প্রথম কেনেন। বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন ও মা তেজি বচ্চন থাকতেন এই বাড়িতেই। হরিবংশ রাই বচ্চন নিজেই এই বাড়ির নামকরণ করেছিলেন। এই বাড়িই তাঁদের স্থায়ী বাসস্থান ছিল বলে এর নাম প্রতীক্ষা রাখা হয়।
এখনও প্রতিদিন তিনি স্ত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গে এই বাড়ির মন্দিরে পুজো দিতে যান। বাড়ির মন্দির হরিবংশ রাই বচ্চন নিজে হাতে গড়েছিলেন। যে ঘরে তাঁর বাবা, মা থাকতেন এখনও সেই ঘর একরকম রেখে দিয়েছেন বিগ বি। এমনকি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিয়েও হয়েছিল এই বাড়িতে।
২. জনক
জনক কথার অর্থ পিতা, বা যিনি প্রতিষ্ঠাতা। এই বাড়িটি আসলে অমিতাভ বচ্চনের অফিস। অফিসিয়াল কাজের জন্যেই ব্যবহার করেন। অন্যদিকে অমিতাভের জিমও এই বাড়িতে। রোজ এখানেই এক্সারসাইজ করেন তিনি।
৩. জলসা
জলসা মানেই উদযাপন। এই বাড়িটি ১৯৮২ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘সত্তে পে সত্তা’ সিনেমার পর পরিচালক রমেশ সিপ্পি তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন। জুহুর এই বাড়িতেই এখন তাঁরা সপরিবারে থাকেন। ২০০৬ সালে জয়া বচ্চনের নামে এই বাড়িটি লিখে দেন তিনি। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ‘মুরাব্বা’ সিনেমাটি এই বাড়িতেই শুটিং করা হয়েছিল। যদিও বাড়ির অন্দরমহল সেই সিনেমায় দেখানো হয়নি।
৪. নতুন বাংলো
২০১৩ সালে অমিতাভ ও অভিষেক বচ্চন দু’জনে মিলে ‘জলসা’র পিছনে এই বাড়িটি কেনেন। জুহুতে ৮ হাজার স্কোয়ার ফিটের এই বাংলো তাঁদের পাঁচ নম্বর বাড়ি। বাড়ির ছোটখাটো অনুষ্ঠান এই বাড়িতেই হয়। অনেক সময় থাকেনও।
৫. বৎস
বৎস মানে আপনজন। একদম ছোট সদস্যকে বৎস বলা হয়। জুহুর এই বাড়িটি সিটিব্যাংককে ভাড়া দিয়েছেন তিনি। তাঁদের এই বাড়িটি যেমন একটি সম্পদ, তেমনই প্রতিমাসে এই বাড়ি থেকে উপার্জনও হয় তাঁদের।