
বিহারের সিয়ান জেলায় কেনা-ইস্তক পার্কিং লটেই পড়ে আছে সাতটি অ্যাম্বুল্যান্স। জানা গেছে, সাত লক্ষ টাকা দামের এক একটি অ্যাম্বুল্যান্স ২১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল। তবে সরকারি ভাবে নয়। যদিও সরকার যদি ৫ লক্ষ টাকার বেশি দামের কোনও জিনিসর কিনতে চায়, তবে তা সরকারেরই ই-মার্কেটপ্লেস (জিইএম) থেকে কেনা বাধ্যতামূলক বলে নিয়ম। অথচ এই অ্যাম্বুল্যান্স কেনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আঞ্চলিক উন্নয়ন ফান্ডের আওতায়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ‘অ্যাম্বুল্যান্স স্ক্যাম’-এর।
জানা গেছে, অ্যাম্বুল্যান্সের যা দাম, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য আরও নানা অত্যাধুনিক মেডিক্যাল সরঞ্জামের খরচ। বদলানো হয়েছে সিটের সজ্জাও। এই সবই করা হয়েছে বিশেষ এক সংস্থাকে বরাত দিয়ে। সে জন্যই সব মিলিয়ে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা দাম পড়েছে এক একটি অ্যাম্বুল্যান্সের। এর পরে সেগুলির গায়ে বিধায়ক-সাংসদদের নামও লেখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন, কেন সেগুলিকে আদৌ ব্যবহার করা হল না।
সিয়ানের জেলাশাসক অমিত পাণ্ডে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিহারের কোভিড পরিস্থিতি গত বছর বা এবছর দু’বারই যথেষ্ট খারাপ। সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, মৃত্যুমিছিলও সুদীর্ঘ। ভিড় উপচে পড়ছে শ্মশানগুলিতে। নদীর ধারে ভেসে উঠেছে লাশ। বারবার তোপের মুখে পড়েছে প্রশাসন। তারই মধ্যে নতুন অভিযোগ উঠল অ্যাম্বুল্যান্স কেলেঙ্কারির।