
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে আলোচনা হয় কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা যারা আবেদন করেছে সংসদে তাদের প্রায় ১০০ শতাংশকেই পাশ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের যুক্তি যেখানে পরীক্ষায় হয়নি সেখানে ফেলের বিষয় না থাকা ভাল। এদিন বৈঠকে মূলত এই প্রসঙ্গে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রসেস কমপ্লিট করেনি অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশনই করেনি তারাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাদের পাশ করানো সম্ভব নয়।
উচ্চমাধ্যমিকে সংসদের এক আধিকারিকের কথায়, যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদেরকে ইতিমধ্যেই পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের ফলে অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়তে হচ্ছে নবান্নকে। তাই দেরি না করে কদিন আগেই উচ্চমাধ্যমিক সংসদের চেয়ারম্যান মহুয়া দাসকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। মহুয়া দাসকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। মূল্যায়নে কোথাও গাফিলতি থাকলে তা খতিয়ে দেখতে।
এরপরই দেখা যায় উচ্চমাধ্যমিক সংসদ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, যে যে স্কুল গুলিতে বিক্ষোভ হচ্ছে সেই সব স্কুল গুলির সঙ্গে কথা বলছে সংসদ। পাশাপাশি, এও বলা হয় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাদের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। পরে আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় ৭ দিনের মধ্যে যারা বিক্ষোভ করছে তারা তাদের অভিযোগ স্কুলের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক সংসদে জানাতে পারবে। তবে এরপরও বিক্ষোভ থেমে থাকেনি। বিক্ষোভ চলেছে।
এরপর দেখা যায় শিক্ষা সচিব সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন যেখানে যেখানে বিক্ষোভ চলছে সেখানে এসডিও, বিডিও ও ডিআইদের পাঠিয়ে দিতে। এবং তাদের অভিযোগ শুনতে।