
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিশুদের উপর যৌন অপরাধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শিশুদের সঙ্গে ওরাল সেক্স (Oral Sex) অর্থাৎ শিশুর মুখে পুরুষাঙ্গ প্রবেশকে কোনও গুরুতর অপরাধের পর্যায়ে ফেলা যায় না, জানালেন বিচারপতি। এই অপরাধের অভিযুক্ত আসামীকে নিম্ন আদালতে যে সাজা দেওয়া হয়েছিল, তা কমিয়েও দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
কাঁথিতে ফের ভুয়ো পুলিশ! চাকরির নামে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ
যে মামলায় উচ্চ আদালত এই রায় শুনিয়েছে তার মূ অভিযুক্ত সোনু কুশহা। মাত্র ১০ বছর বয়সি এক শিশুর সঙ্গে ওরাল সেক্স করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের পর তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কুমার ওঝার সিঙ্গল বেঞ্চ সেই সাজা খানিক লাঘব করে দিয়েছে। ১০ থেকে কমিয়ে ৭ বছর কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আসামীকে। গত ২০ নভেম্বর এই রায় দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পকসো আইনের সেকশন ৪ অনুযায়ী কোনও বাচ্চার মুখের ভিতর পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তা সেকশন ৬ বা ১০-এর মতো গুরুতর নয়। এই মামলায় অভিযুক্ত নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭, ৫০৬ এবং পকসো আইনের সেকশন ৬ অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল।
কিন্তু হাইকোর্ট দেখায়, এই অপরাধ পকসো আইনের সেকশন ৪-এর আওতায় পড়ছে। বাকি সেকশনের তুলনায় এই ধারার অপরাধের গুরুত্ব খানিক কম। তাই অভিযুক্তের সাজাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, একই যুক্তিতে তাও কমিয়ে দিয়েছে আদালত।
পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’