
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আখের রসে গোমাংস মিশিয়ে (Sugarcane Juice Mixed With Beef) বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। দু’মাসেরও বেশি সময় জেলে বন্দি থাকার পর অবশেষে আদালত জামিনে মুক্তি দিলে অভিযুক্তকে।
ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ফুজাইল। পেশায় তিনি একজন আখের রস বিক্রেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নাকি ক্রেতাদের অজান্তে আখের রসে গোমাংস মিশিয়ে বিক্রি করছেন। এরপরেই ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ফুজাইলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৫০৪, ২৯৫-এ এবং উত্তরপ্রদেশের গোহত্যা বিরোধী আইনের ৩ এবং ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এতদিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি।
যদিও ফুজাইলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad HC) তাঁর আইনজীবী জানান, এক ক্রেতার সঙ্গে আখের রস খাওয়ার পর দাম মেটানো নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তাঁর মক্কেল। সেই রাগেই ওই ক্রেতা ফুজাইলকে ফাঁসানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ফলের রসে গোমাংস মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি তাঁর।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ফুজাইল সে সত্যিই আখের রসে গোমাংস মিশিয়েছিলেন, তার স্বপক্ষে কোনও রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে পারেনি বিরোধী পক্ষ। তাঁর দাবি, এতেই স্পষ্ট, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁর মক্কেলকে। ‘এর অর্থ হল, যে ধারাগুলিতে ওঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই ধারা অনুযায়ী কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়নি,’ একথা বলেই ফুজাইলের জামিনের জন্য বিচারকের কাছে আর্জি জানান তিনি।
এরপরেই বিচারপতি দীপক ভার্মার সিঙ্গল বেঞ্চ ফুজাইলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। অপরাধের ধরন, সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
ফুজাইলের আইনজীবী আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন, জামিনে মুক্তি পেলেও সেই স্বাধীনতার কোনওভাবে অপব্যবহার করবেন না তাঁর মক্কেল। শুধু তাই নয়, বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন তিনি।