
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে আজ চেন্নাই রওনা দিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একমো সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। ওই অবস্থাতেই গ্রিন করিডোরে করে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে তাঁকে আনা হয় বিমানবন্দরে, সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স উড়ে যায় তাঁকে নিয়ে। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়।
ফুসফুস প্রতিস্থাপন করতে হবে কৃষ্ণা রায়ের। সেই জন্য গতকাল, বুধবারই তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চেন্নাই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেন্নাইয়ের আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর পর্যন্ত গ্রিন করিডোর করেও গতকাল বাতিল হয়ে যায় উড়ান। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে সেখানকার আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হতেই কৃষ্ণাদেবীকে নিয়ে চেন্নাই রওনা দিল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।
মে মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুকুলবাবু ও তাঁর স্ত্রী। মুকুলবাবু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল। প্রথম থেকেই ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছিলেন তিনি। পরে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়।
এর পরে একমো সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। একমো হল একস্ট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন। ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড দু’টিই কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে এটি ব্যবহার করে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। বাইপাস বা ভালভ প্রতিস্থাপনের সময়েও এই প্রক্রিয়া চলে। যন্ত্রের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত রক্তের সার্কুলেশন করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে তা থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নিয়ে রক্তে অক্সিজেন প্রবেশ করানো হয়।
এই অবস্থায় একসময় চিকিৎসকরা জানান, মুকুলবাবুর স্ত্রীর ফুসফুস খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। ফুসফুস প্রতিস্থাপন করতে হবে তাঁর। সেই জন্য ব্রেন ডেথ হয়েছে এমন ফুসফুস দাতার সন্ধানও চলছিল। অবশেষে, বুধবার নিয়ে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে স্থগিত হয় যাত্রা। শেষমেশ আজ বৃহস্পতিবার যাচ্ছেন তিনি।