Latest News

ওমিক্রনকে ঠেকানোর দু’টিই রাস্তা…মন্তব্য করলেন এইমসের প্রধান

দ্য ওয়াল ব্যুরো : মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে বলেছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওমিক্রন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিতে হবে। বুধবার এইমস দিল্লির ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট ঠেকানোর দু’টি পদ্ধতি আছে। প্রথমত, ভ্যাকসিন নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, মেনে চলতে হবে কোভিড বিধি। গত ২ ডিসেম্বর ভারতে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। বুধবার দেশে ওই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩।

গুলেরিয়া বলেন, ওমিক্রন অন্যান্য ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে বেশি ছোঁয়াচে। তাঁর মতে, চলতি ভ্যাকসিনের সামান্য পরিবর্তন করে ওই ভ্যারিয়ান্টের মোকাবিলা করা যায়। তাঁর কথায়, “আমাদের কাছে এখন সেকেন্ড জেনারেশনের ভ্যাকসিন রয়েছে। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়ান্ট মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ভ্যাকসিনের কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। এই নিয়ে পরীক্ষা চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়।” পরে তিনি জানান, যে ভ্যাকসিন একইসঙ্গে ডেল্টা ও বিটা ভ্যারিয়ান্টকে রোধ করতে পারে, তাকে বলে বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন।

এখনও পর্যন্ত ভারতে যাঁদের দেহে ওমিক্রন ধরা পড়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই হয় বিদেশে গিয়েছিলেন, নয়তো বিদেশ থেকে ফেরা মানুষজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁদের সকলেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বেশিরভাগই বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু তাও রাজ্য সরকারগুলিকে বলা হয়েছে, তারা যেন ওমিক্রনে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক বেড প্রস্তুত রাখে।

বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, “গবেষণায় জানা গিয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বেশি সংক্রামক।” একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশের নানা অংশে অনেকে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।

সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত তিনজন ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই ভ্যারিয়ান্টের আশঙ্কায় কোভিড বিধি কঠোর হয়েছে ইউরোপের নানা দেশে। ধনকুবের বিল গেটস টুইট করে বলেছেন, ওমিক্রনের জন্য আমরা সম্ভবত কোভিড অতিমহামারীর সবচেয়ে খারাপ পর্বে প্রবেশ করতে চলেছি।

You might also like