
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘আন্দোলন (agitation) এখনই প্রত্যাহার করছি না। সংসদে বিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ফিরছি না আমরা’– জানিয়ে দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা জানান, কৃষকদের অন্যান্য অভিযোগ,দাবি নিয়েও সরকারকে কথা বলতে হবে। সংসদে আগে পুরোপুরি বাতিল হোক আইন। তার আগে পর্যন্ত কৃষকরা আন্দোলনের জমি ছাড়বেন না।
आंदोलन तत्काल वापस नहीं होगा, हम उस दिन का इंतजार करेंगे जब कृषि कानूनों को संसद में रद्द किया जाएगा ।
सरकार MSP के साथ-साथ किसानों के दूसरे मुद्दों पर भी बातचीत करें : @RakeshTikaitBKU#FarmersProtest
— Rakesh Tikait (@RakeshTikaitBKU) November 19, 2021
এদিন সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে মোদী ঘোষণা করেন, বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি। আমি গত পাঁচ দশকে কৃষকদের দুর্গতি দেখেছি। তাই ২০১৪ সালে যখন দেশ আমাকে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়, তখন থেকে ছোট কৃষকদের জন্যে কাজ করতে চেয়েছি। আজকে গুরু পর্বে কারোর উপর দোষারোপ করার সময় নয়।’
তিন কৃষিবিল প্রত্যাহার করলেন মোদী, এক বছরের আন্দোলনের ফসল পেলেন কৃষকরা
এদিন দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। হয়তো আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল, তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’
আজ, শুক্রবার, গুরু নানকের জন্মদিবস। এমন দিনে মোদীর এই ঘোষণা ঘিরে আলোড়ন রাজনীতির অন্দরে। অনেকেই মনে করছেন, দিল্লি-পঞ্জাবের কৃষকদের আন্দোলনের ফলশ্রুতি হিসেবে পাওয়া এই সাফল্যের পেছনে ভোটব্যাঙ্কের সমীকরণ রয়েছে স্পষ্টতই।
আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ এই আন্দোলনে সামিল ছিলেন। এই সাফল্য তাঁদের মোদী-মুখী করে কিনা, সেটাই এখন দেখার। তবে পঞ্জাব নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।