
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার জেলাগুলি। বিশেষত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যেভাবে বোমা-গুলি চলছে, তাতে নবাবের জেলায় যে ইতিমধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে, তা বুঝতে আর বাকি নেই।
গত সপ্তাহে রানিনগরের পর আজ, মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় চলল বোমা (bombing)-গুলি (firing)। এই ঝামেলার জেরে ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম নাজির হোসেন (৩৬)। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। বচসাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফরাক্কার কেন্দুয়া গ্রাম। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ এই বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃতের পরিবারের দাবি, বোমাবাজির পর নাজিরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কার এসডিপিও রাজপ্রীত সিংহ ও ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী। এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।
গত মঙ্গলবারই ওই জেলার রানিনগরে প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল নেতা আলতাফ আলিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু বুধবার সকালেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর বুধবার রাতেই ফের বোমা, গুলি চলার অভিযোগ ওঠে নওদায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সেলিম রেজাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে জেলায় তিন-তিনটি বোমা-গুলি চলার ঘটনা এবং দু’জনের খুন হয়ে যাওয়ায় এটুকু পরিষ্কার যে, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই গরম হচ্ছে মুর্শিদাবাদ।
প্রেম করলে সেক্সের ভিডিও করল কেন? কাঁথির তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠল হাইকোর্টে