
মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কৃষকদের স্বল্পমেয়াদী শস্য ঋণ মকুব করা হয়েছে। অন্যদিকে ছত্তিসগড় সরকার ঘোষণা করেছে, কৃষকরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ নিয়েছিলেন, তা সরকারই শোধ করে দেবে। এর ফলে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ক্ষতি হবে ৩৫ থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। রাজস্থানের ক্ষতি হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং ছত্তিসগড়ের ৬১০০ কোটি টাকা। এদিকে তিন রাজ্যে বাজেটে বরাদ্দ অর্থও প্রায় শেষ। বিদায়ী বিজেপি সরকার বাজেট বরাদ্দের ৭০ শতাংশ অর্থই ব্যয় করে গিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে এখনও কয়েক মাস বাকি। বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ নিয়ে কীভাবে আগামী বাজেট পর্যন্ত সরকারের খরচ মেটানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় আছেন প্রশাসনের অনেকে।
মধ্যপ্রদেশের অর্থ দফতরের এক অফিসার বলেন, অর্থ সংগ্রহের জন্য সবরকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজার থেকেও ধার নেওয়া হতে পারে। কারণ রাজকোষে এখন যে পরিমাণ অর্থ পড়ে আছে, তাতে অন্যান্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করা সম্ভব নয়।
অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে আছে বেকার ভাতা। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ভোটের আগে বলেছিল, যে পরিবারে একজনও উপার্জনশীল সদস্য নেই, তাদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাজস্থানে বলা হয়েছিল দেওয়া হবে ৩৫০০ টাকা। ছত্তিসগড়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের কথা বলা না হলেও বেকার ভাতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস নেতারা ভোটের আগে বলেছেন, গরিবদের বিদ্যুতের বিল পুরোপুরি মকুব করবেন। অন্যদের বিদ্যুৎ বিল অর্ধেক মকুব করা হবে। বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। বিনামূল্যে গরিবদের ওষুধ দেওয়া হবে। কৃষকরা ফসলের জন্য যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান, তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস বলেছে, মদ নিষিদ্ধ করবে। তার ফলেও সরকারের রাজস্ব কমবে ব্যাপক।