Latest News

করোনার পর রাজ্যে প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা, চিন্তা শিক্ষার মানে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দ্য অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট, ২০২২ প্রকাশিত হল। করোনা পরবর্তী সময়ে (Corona period) প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এটি। তাতে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জন্য স্বস্তির চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলায় স্কুলে (schools) পড়ুয়ার (students) সংখ্যা সব মহলের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। করোনা-লকডাউন পর্ব পরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ৯৮ শতাংশ পড়ুয়া আবার ফিরে এসেছে। রাজ্যের অবস্থা সর্বভারতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই ভাল।

তবে ওই রিপোর্টেই কিছু দুর্ভাবনার দিকও উঠে এসেছে। প্রাথমিক স্কুলের পাঠ শেষ করা অনেক ছাত্রছাত্রী সাধারণ যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগ করতে পারছে না। এমনকী অক্ষর চিনতেও ভুল করেছে কেউ কেউ।

প্রথম এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন গোটা দেশে ২০২২-এর স্কুল শিক্ষার মান নিয়ে সমীক্ষাটি চালিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, স্কুলে নাম লেখানোর হার আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। করোনাকালে অল্প বয়সে অনেক কিশোরীর বিয়ে, কিশোরদের রোজগারের পথে হাঁটতে গিয়ে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা থেকে স্পষ্ট করোনা এক্ষেত্রে বড় বিপদের কারণ হয়নি। মেয়েদের ড্রপ আউটও কমে এসেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকলেও পড়াশুনোর প্রতি আগ্রহ চলে যায়নি।

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য প্রশাসন অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। আদালত রাজ্য প্রশাসনকে চেপে ধরেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক জেলে। এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে স্কুল শিক্ষা নিয়ে সর্বভারতীয় সমীক্ষার ফল বাংলাকে স্বস্তি দিল।

বুধবার কলকাতায় এই রিপোর্ট প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “পড়াশুনো করলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়, এই ধারণা বহু বাবা-মায়ের মধ্যে আছে। এই ভাবনা দূর করতে হবে। কারণ, ছেলেমেয়েরা দেখতে পাচ্ছে চাকরি পাওয়া সহজ নয়। চাকরি হচ্ছে না দেখে পরবর্তী সময়ে অনেক ছেলেমেয়ের পড়াশুনোয় আগ্রহ হারিয়ে ফেলা অসম্ভব নয়। তাই নানা প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে শিশু-কিশোরদের পড়াশুনোর উৎসাহী করে তুলতে হবে।”

‘যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’, ডায়লগেই মাত করলেন মিঠুন

You might also like