
জার্মানির ১৬ টি প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন একটি যৌথ বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়েছে, ৬০-এর কমবয়সীরাও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি শর্ত আছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে তাঁদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও ক্ষতি হলে সেজন্য দায়ী থাকবেন তাঁরাই।
জার্মানির চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেন, “ডাক্তাররা জানিয়েছেন, খুব বিরল কয়েকটি ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে থ্রম্বোসিস দেখা গিয়েছে। কিন্তু আমরা এই তথ্য উপেক্ষা করতে পারি না।”
জার্মানিতে যে সরকারি সংস্থাটি টিকাকরণের দায়িত্বে আছে, তার নাম স্টিকো। ওই সংস্থা মঙ্গলবার সরকারকে পরামর্শ দেয়, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের কম, তাঁদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না দেওয়াই ভাল। কারণ খুব কম ক্ষেত্রে হলেও ওই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে গুরুতর থ্রম্বোসিস দেখা গিয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ৬০-এর কমবয়সীদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী করা হবে। তাঁরা কি ওই প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ নেবেন? স্টিকো বলেছিল, তাঁদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এপ্রিলের শেষে। জার্মানির ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেন।
জার্মানির ‘ডের স্পিগেল’ ম্যাগাজিনে জানানো হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে ৩১ জনের রক্ত জমাট বেঁধেছে। তাঁদের বেশিরভাগই মধ্যবয়স্ক মহিলা।
গত সোমবার কানাডা ঘোষণা করে, ৫৫-র কমবয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। ওই প্রতিষেধক নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে ব্রিটেনে। ব্রিটিশ সরকার বার বার দাবি করেছে, ওই প্রতিষেধক সম্পূর্ণ নিরাপদ। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সরাসরি বলে দিয়েছে, তারা ওই ভ্যাকসিন দেবে না।