
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুজরাত বিধানসভার প্রচারে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, গালভরা দাড়ি রাখায় রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ইরাকের স্বৈর শাসক সাদ্দাম হুসেনের মতো দেখতে লাগছে। হিমন্তের কথায় সামাজিক মাধ্যমে ঝড় উঠেছিল। কেউ কেউ বলেছেন, রাহুলকে কার্ল মার্কসের মতো দেখতে হয়েছে। কংগ্রেসের কেউ কেউ বলেছেন, দেশের সাধুসন্ত, শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের সঙ্গেই বেশি মিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, রাহুল পরিকল্পনা করে এই ‘লুক’ তুলে ধরে ত্যাগী, ফকির ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। বোঝাতে চেয়েছেন, এই যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) লক্ষ্য তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার মজবুত করা নয়। দেশের স্বার্থেই তিনি পথ চলা শুরু করেছেন।
সোমবার শ্রীনগরে জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে রাহুলের পাঁচ মাসব্যাপী ভারত জোড়ো যাত্রা। ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয় রাহুলদের যাত্রা।
সাড়ে তিন হাজার যাত্রাপথে রাহুল প্রতিদিন ভোট চারটেয় বিছানা ছেড়েছেন। ঘড়ি ধরে সকাল ৬’টায় হাঁটা শুরু করতেন। ৯’টায় ছিল চা খাওয়ার বিরতি। ১১’টায় শেষ হত প্রথম দফার যাত্রা। দুপুরের খাওয়া শেষে খানিক বিশ্রাম নিয়ে বিকালের যাত্রা শুরু করতেন। শেষ হত সন্ধ্যার আগে (lifestyle)।
সেই ৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাহুল চুল-দাড়ি কাটেননি। যদিও আগেও হাল্কা দাড়ি রাখতেন। রোজ দাড়ি কাটার অভ্যাস তাঁর নেই। কিন্তু ৭ সেপ্টেম্বর থেকে গালে রেজার চালাননি। আজ সোমবার শ্রীনগরের সভামঞ্চে কি তাঁকে গতকালের চেহারাতেই দেখা যাবে? কাল থেকে কেমন হবে তাঁর দৈনন্দিন রুটিন? তিনি কি এখনকার রুটিন মেনেই ঠিক করবেন রোজকার রাজনৈতিক কর্মসূচি? চুল দাড়ি কেটে আবার পুরনো চেহারায় ফিরবেন কবে?
দিন কয়েক আগে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছিলেন, ‘ভারত জোড়া যাত্রার সময় আমার কেন জানিনা মনে হয়েছিল যে দাড়ি কামানো উচিত নয়, চুল কাটা উচিত নয়। তাই রেখে দিয়েছি। মাঝে মধ্যে সমস্যা হয় বৈকি। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার সময়।’ কিন্তু এই চেহারাই রেখে দেবেন কিনা স্পষ্ট করেননি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবর দাড়ি রাখেন। তবে বিগত কয়েক বছর হল তিনি লম্বা দাড়ি রাখছেন। দেখে বোঝা যায়, তিনি নিয়মিত দাড়ির পরিচর্যা করেন। এখন রাহুল কী করবেন সেটাই দেখার।
কাশ্মীর শান্ত! শাহকে চ্যালেঞ্জ রাহুলের, উপত্যকায় পদযাত্রা করে প্রমাণ দিন