
পাশ করতে না পেরে ৬ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করায় তেলঙ্গানাব্যাপী পড়ুয়ামহলে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়ায়। আন্দোলনে শুরু হয়। তেলঙ্গানা স্টেট বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশনের এ বছর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার আয়োজন না করার সিদ্ধান্তেও ক্ষুব্ধ হয় পড়ুয়ারা। কোভিড ১৯ এর জেরে ঠাসা অ্যাকাডেমিক শিডিউলের জেরে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
বোর্ড জানিয়েছিল, ব্যর্থ পড়ুয়াদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে ২০২২ এর এপ্রিলে। প্রতিবাদী পড়ুয়াদের বক্তব্য, এটা খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত, যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা আরও হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। এসএফআই, পিডিএসইউ, এনএসইউআইয়ের মতো নানা ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভে দেখিয়ে দাবি করে, বোর্ড সঠিক, ন্যায্য মূল্যায়ন করতে পারেনি। তারা বলে, সরকার পড়ুয়াদের জমা দেওয়া ইন্টারনাল অ্যাসাইনমেন্ট খতিয়ে দেখে অন্ততঃ পাশ মার্ক দিক পড়ুয়াদের। ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, মাত্র ২৩ দিন সশরীরে ক্লাস হয়েছে, বাকি ক্লাস হয়েছে অনলাইন পদ্ধতিতে, যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক অংশের পড়ুয়ারা বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, কম্পিউটারের মতো পরিকাঠামো হাতে না থাকায়।
শুক্রবার বাকিদের পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তেলঙ্গানার শিক্ষামন্ত্রী সবিতা ইন্দ্র রেড্ডি বলেন, পড়ুয়াদের ওপর থেকে চাপ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত,শীঘ্রই ওরা দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসবে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, সরকারকে দুষছে পড়ুয়ারা। কিন্তু বোর্ড বা সরকার-কেউই কোনও ভুল করেনি। কিভাবে কোভিড ১৯ পড়ুয়াদের ও শিক্ষাক্ষেত্রের ক্ষতি করেছে, সরকার সে ব্যাপারে সচেতন বলে জানান তিনি।