
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাস দেড়েক আগের কথা। সল্টলেকের এমপি-এমএলএ আদালতে অশ্রুসজল চোখে কুণাল ঘোষ এমন বাক্যবাণ ছুড়েছিলেন যে রাজ্য রাজনীতি আন্দোলিত হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের এই মুখপাত্র সেদিন কারও নাম করেননি। তবে বুঝতে অসুবিধা হয়নি কুণালের নিশানায় আসলে কে? এক্কেবারে সেই কথা বসিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury-Partha Chatterjee)।
সেদিন আদালতে কী বলেছিলেন কুণাল? (Adhir Chowdhury-Partha Chatterjee)
“আইকোর মডেলকে যিনি তুলে ধরেছিলেন, আইকোরের মঞ্চে উঠে বক্তৃতা করেছিলেন তিনি আজ মন্ত্রী। তিনিই তখন আমাকে পাগল বলেছিলেন। তিনি এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত।’’
আর এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআই ‘এড়িয়ে’ যাওয়ার আইনি দৌত্য নিয়ে তোপ দাগলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা। তাঁর কথায়, “আমি যদি চুরি না করি, তাহলে ভয় কীসের? মানুষের টাকা চুরি করেছে। আবার যাতে সেই চুরি ধরা না পরে, সেই জন্য সেই মানুষের টাকায় কোর্টে গিয়ে মুক্তি পেতে চাইছে। এটাই বাংলার মা মাটি মানুষের সরকারের নতুন নমুনা।”
ববি-ব্রাত্যর বিলেত সফর বাতিল, মমতা ঘোষণা করেছিলেন শিল্প সম্মেলনে
এরপরেই অধীর বলেন, “ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এগুলোকে গরাদে ভরে দেওয়া দরকার। আমি মুখ্যমন্ত্রী হলে এতক্ষণে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গরাদে ভরে দিতাম।”
বুধবার পার্থবাবুকে জেরা করেছে সিবিআই। তার আগে তাঁর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টে এই বেঞ্চ, সেই বেঞ্চ ছুটে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রক্ষাকবচ মেলেনি। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চও রক্ষাকবচ দেয়নি পার্থবাবুকে। এরমধ্যে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরমধ্যেই জানা গিয়েছে, সামনের সপ্তাহে ফের পার্থবাবুকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে।