
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় সব রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীতে ভারত এ বার নেতৃত্ব দেবে। সেই উপলক্ষেই এই বৈঠক। সে জন্য দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি ও তার পর আজমেঢ় সফর সেরে কলকাতা ফিরেই ফের ভিন রাজ্যে সফরে যেতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।
আগামী মাসের ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর মেঘালয় (Meghalaya ) সফরে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সফরে সামিল হতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আগামী বছর মার্চ মাসে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে তৃণমূল বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল। ফলে মেঘালয়ের নির্বাচন তৃণমূলের কাছে গোয়া বা ত্রিপুরার ভোটের মতো নয়। রাজ্যে ৬০ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২ টি আসন রয়েছে তৃণমূলের কাছে। বিরোধী দলনেতা হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
মেঘালয়ে সরকার গড়তে ৩১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ফলে তৃণমূল যদি কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে ফেলতে পারে, তা হলে সেখানে মিলিজুলি সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া অসম্ভব নয়। তা ছাড়া মুকুল সাংমা দীর্ঘ দিনের পোড় খাওয়া নেতা।
সার্বিক এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি দুদিনের জন্য মেঘালয় সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেই সফরে শিলংয়ে তৃণমূলের নতুন পার্টি অফিস উদ্বোধন করেছেন তিনি। পরদিন মেঘালয়ে জনসভাও করেছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে ‘কনম্যান’ বলে মন্তব্য করে তাঁর ব্যক্তিগত দুর্নীতি নিয়ে সওয়াল করেছিলেন অভিষেক।
মেঘালয়ে কংগ্রেস ভেঙেই তৃণমূল মাথা তুলেছে। গত বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে ১৭ টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে থেকে ১২ জনই চলে এসেছে তৃণমূলে। ফলে মেঘালয়ে কংগ্রেস এখন খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মেঘালয়ে সক্রিয় থাকলেও সেখানে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা খুবই কম। মূলত আঞ্চলিক শক্তির প্রাধান্যই বেশি। বড় কথা হল, তৃণমূলের কাছে যে ১২ টি আসন রয়েছে তা মেঘালয়ের তিন পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গারো পাহাড় এলাকায় জোড়াফুলের ৮ টি বিধানসভা রয়েছে আর খাসি ও জয়ন্তিয়া পাহাড়ে চারটি বিধানসভায় ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল।
মেঘালয় ভোটে যাতে স্থানীয় নেতৃত্বের উপরেই মানুষ আস্থা রাখে সে কথা গোড়া থেকেই প্রচার করতে শুরু করেছেন অভিষেক। শিলং সফরে গিয়ে তিনি বারবার বলেছেন, মেঘালয়ের মানুষের কী প্রয়োজন তা দিল্লি বা গুয়াহাটি ঠিক করে দেবে না। তা এখানকার মানুষই ঠিক করবে। অর্থাৎ কংগ্রেস বা বিজেপির তুলনায় স্থানীয় তৃণমূল যাতে বিকল্প হয়ে উঠতে পারে তা প্রচারের অভিমুখ করতে চেয়েছেন অভিষেক। সেই প্রচারে আরও ধাক্কা দিতে এবার শিলংয়ে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা শুধু একটাই। তা হল ডিসেম্বরে মেঘালয়ে বেশ ঠাণ্ডা পড়ে। তবে মুশকিল হল, সে কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকার উপায়ও নেই। কারণ আর এক মাস বাদেই ভোটের ঘণ্টা বেজে যাবে মেঘালয়ে।
ধনকড়কে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হল বীরবাহা ও জ্যোৎস্নাকে, এ মাসেই আসার কথা