
এক সময়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়। ভোটের ফল ঘোষণার দিন তাঁর ব্যস্ততা থাকত চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিক ভাবেই পদাধিকার বলে ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়াও জানাতেন তিনি। সেই নিরিখে দেখলে অভিষেকের এ হেন নীরবতা ব্যতিক্রমী বইকি।
দিদি নির্দলদের নেবেন? কী বললেন মমতা
দলের এক প্রবীণ নেতার মতে, এর থেকে বার্তা যাচ্ছে যে, সংগঠনের মধ্যে টানাপোড়েন এখনও রয়েছে। কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। দেখা যাবে কলকাতা পুরভোটের প্রচারে অভিষেক সক্রিয় থাকলেও ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সেদিনও রা কাড়েননি। তার পর গোটা রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার প্রার্থী বাছাই নিয়েও তাঁর সঙ্গে দলের একাংশের মতান্তর বা মনান্তর প্রকট হয়ে পড়ে। এমনকি অভিষেক প্রকাশ্যে এই অভিযোগও করেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীরা যে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছেন, তাতে মৃত ব্যক্তিকেও প্রার্থী করা হয়েছে। আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঠারেঠোরে ইঙ্গিত করতে থাকেন যে, অভিষেকের প্রশ্রয়ে অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। সার্বিক এই পরিস্থিতিতে বুধবার ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যও তাৎপর্যপূর্ণ। জয়ী নির্দল প্রার্থী (পড়ুন বিক্ষুব্ধদের) দলে ফেরানো হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে ববি বলেছেন, এখনই ফেরানো ঠিক হবে না।
তৃণমূলের একাংশের মতে, অভিষেক যে চুপ রয়েছেন তা হতে পারে ঝড়ের পূর্বাভাস। ৮ তারিখ নজরুল মঞ্চে দলের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে দাবি করছেন, ওই বৈঠকে দলের নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। যে কমিটিতে এবার অভ্যন্তরীণ সমীকরণ বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। ফলে বুধবার পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার পর আসন্ন ওই বৈঠক নিয়েই এখন কৌতূহল ক্রমশ বাড়ছে।