
ব্যাপারটা কী ঘটেছে?
সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে গোয়ার পর্যবেক্ষক হলেন চিদম্বরম। দুদিন আগে গোয়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে চিদম্বরম বলেন, “আমার ধারণা হল আম আদমি পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগিতে নেমেছে। গোয়ায় বিজেপিকে এক মাত্র হারাতে পারে কংগ্রেসই। এবং কংগ্রেসই বিকল্প।”
My assessment that the AAP (and the TMC) will only fracture the non-BJP vote in Goa has been confirmed by Mr Arvind Kejriwal
The contest in Goa is between Congress and BJP
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) January 17, 2022
এর পাশাপাশিই চিদম্বরম আরও বলেন, গোয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়বে কংগ্রেস। তবে কেউ যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে চায়, তা হলে দরজা খোলা রয়েছে। পাশাপাশি এক প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের তরফে কোনও জোট প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
চিদম্বরমের এই কথাকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। ওঁর মিথ্যা ভাষণ বেআব্রু করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন ভার্মা। উনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার সময়ে চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। ওই বৈঠকেই কংগ্রেসকে জোট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।”
অভিষেকের সাফ বক্তব্য, “চিদম্বরমের ক্ষমতা থাকলে পবন ভার্মার এই দাবিকে অস্বীকার করুন। ক্ষমতা থাকলে মানহানির মামলা করুন। উনি তো বিশিষ্ট আইনজীবী!”
তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা উচিত। উনি যদি আমাদের বিরুদ্ধে মানাহানির মামলা করেন, তা হলে আমরা প্রকাশ্যে আরও তথ্য আনব। মানুষেরও জানা উচিত যে বিজেপিকে পরাস্ত করতে তৃণমূল কতটা পথ হাঁটতে চেয়েছিল। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল হলে চুপচাপ বসে থাকত। কিন্তু আমরা চুপ করে থাকার পাত্র নই।”
অভিষেকের এই বক্তব্যের জবাব এখনও চিদম্বরম বা সর্বভারতীয় কংগ্রেস দেয়নি। তবে এদিন অভিষেক যে ভাবে চিদম্বরমকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তাতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন পড়েছে বইকি। কেননা চিদম্বরম দুঁদে আইনজীবী ও পোড় খাওয়া নেতা বলেই পরিচিত। মনমোহন সিংহ মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবীণ সতীর্থ ছিলেন তিনি। তুলনায় অভিষেক অনেকটাই তরুণ। স্মরণকালের মধ্যে কোনও তরুণ নেতা এ ভাবে তাঁকে খোলা চ্যালেঞ্জ দেননি।
এদিন অভিষেক আরও অভিযোগ করেন, গোয়ার মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করছে কংগ্রেস। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ খোলাখুলিই জানিয়েছেন যে তাঁরা কংগ্রেসকে বলেছেন, গোয়ায় সাবেক দল জিততে পারবে না। বিজেপি সরকার গঠন করবে। তাই বিজেপিকে তাঁদের সমর্থন করা উচিত। তাতে রাজি হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস।
সুতরাং গোয়ায় কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাতই শক্তিশালী করা। কিন্তু তৃণমূল কোনও আপস করবে না। এমজেপি-র সঙ্গে জোট হয়েছে। এই জোট নিয়েই বিজেপিকে মজবুত ভাবে মোকাবিলা করবে জোড়াফুল।