
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৪ বছর ধরে খোঁজ চলছিল। অবশেষে ধরা পড়ল দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত আবদুল মাজিদ কুট্টি। ঝাড়খণ্ডের জামসেদপুর থেকে কুট্টিকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)।
দাউদের সঙ্গে একাধিক নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল কুট্টি। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, যে কোনও নাশকতারই সে ছিল মাস্টারমাইন্ড। ১৯৯৭ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল দাউদ ও কুট্টি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সে ছক অবশ্য পরে বানচাল করে দেয় পুলিশ।
দিল্লি, গুজরাট, মুম্বইতে হামলার ছকও ছিল আবদুল মাজিদের। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, ১৯৯৭ সালের হামলার জন্য এক বছর ধরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছিল দাউদ ও কুট্টির। এই ষড়যন্ত্রে আরও একছিল যার নাম আবু সালিম। হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল কুট্টি। কখন, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে তার সবটাই ছিল কুট্টির মস্তিষ্কপ্রসূত। সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা বলছেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর, কুট্টির গোপন ডেরায় আচমকাই হানা দেয় এটিএস। কয়েকজনকে পাকড়াও করা হয়। হামলার ছক ভেস্তে যায়। তবে কুট্টিকে ধরা যায়নি। সে দিন থেকেই সে ছিল বেপাত্তা। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ডেরা পাল্টে, নাম বদলে আত্মগোপন করেছিল। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল।
গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, দাউদের ঘনিষ্ঠ সহচরদের একে একে পাকড়াও করা হবে। খুব তাড়াতাড়ি এই গোটা চক্রটাকে ফাঁদে ফেলা হবে। কিছুদিন আগেই দাউদ ঘনিষ্ঠ ইকবাল মির্চির ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২২ কোটির একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিজ করেন গোয়েন্দারা। এর আগে দুবাইয়ে একটি হোটেল সহ মির্চিদের ২০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।