
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির মদকাণ্ডে (Delhi liquor scandal) ফের ইডির নিশানায় (ED) আপ নেতা উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মদ কাণ্ড নিয়ে তাদের অতিরিক্ত চার্জশিটে বলছে, বিতর্কিত মদ নীতি তৈরির সময় উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ ১২ বার ফোনের সিম বদল করেছেন। এমনকী তিনি অন্যের নামে কেনা সিমও ব্যবহার করেছেন।
দিল্লির মদকাণ্ডে মূল অভিযোগ, আপ সরকারের আবগারি নীতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভ করতে পারে। ইডির বক্তব্য, ১২ শতাংশ লভ্যাংশের মধ্যে ছয় শতাংশ যেত রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, অফিসারদের পকেটে।
চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আগেই মণীশের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটে তারা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও নিশানা করেছে।
ইডির দাবি, তারা একটি টেলিফোন কথোপকথনের টেপ উদ্ধার করেছে। তাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর আছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর এক সহকারীকে ফোনে এক মদ ব্যবসায়ী সম্পর্কে বলেছেন, ‘উনি আমাদের লোক। ওঁর ব্যাপারে খেয়াল রেখ।’ সেই মদ ব্যবসায়ী মদ কাণ্ডে জেলে আছে। ইডি জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করেছে।
ইডির দাবি, কেজরিওয়ালের এই বক্তব্য থেকে পরিস্কার, মদ কেলেঙ্কারি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী অন্ধকারে ছিলেন না। যদিও কেজরিওয়াল অভিযোগ বানানো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

সিসোদিয়া সম্পর্কে ইডি অতিরিক্ত চার্জশিটে বলেছে, বিতর্কিত মদ নীতি তৈরির কাজ চলাকালীন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী ১২ বার সিম বদল করেছেন নিজের অপরাধ ঢাকতে। নতুন নম্বরগুলি তিনি মদ নীতি সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালে ব্যবহার করেছেন।
সিবিআই ইতিমধ্যে মণীশের এক সহকারীকে গ্রেফতার করেছে। অরবিন্দ নামে মণীশের সেই সহকারীর সঙ্গেও ইডি কথা বলেছে। তিনি ইডিকে বলেছেন, খসড়া মদ নীতির কপি আনতে তিনি একদিন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মণীশ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন উপস্থিত ছিলেন। জৈন এখন বেআইনি অর্থ লেনদেনের একটি মামলায় জেলে আছেন।
ধোনি মেন্টর ওয়ান ডে বিশ্বকাপেই! রোহিতদের শিবিরে নয়া ভূমিকায় আসতে পারেন মাহি