
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রিয় খাবার? চাল। তারই সন্ধানে প্রায়শই নাকি শুঁড় দিয়ে তালা খুলে দোকানে ঢুকে পড়তেন গজরাজ (Rice-loving elephant)। এ যেন একেবারে রুটিন-হানাদারি। গত ১০ দিনে বার চারেক তিনি ঢুকে পড়েছিলেন দোকানে। আবার তিনি যে কোনও মুহূর্তে আসতে পারেন, সে কথা বুঝতে পেরে আগেভাগেই দোকান থেকে চাল-ডাল সব অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছিলেন মালিক। তাঁর অনুমান সত্যি করেই ফের হানা দিয়েছিলেন গজরাজ। কিন্তু প্রিয় চাল না পেয়ে আক্রোশে দোকানটাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে গেলেন তিনি (elephant Destroys Ration Shop)।
কেরলের ইদুক্কি জেলার সন্থানপাড়া গ্রামের মানুষের কাছে রীতিমতো ত্রাস ‘আরিকোম্বান’ (Arikomban) নামের একটি দাঁতাল হাতি। স্থানীয় ভাষায় ‘আরি’ শব্দের অর্থ হল চাল, এবং ‘কোম্বান’ শব্দের অর্থ হাতি। বিশালবপু হাতিটির চালের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা দেখে স্থানীয়রাই তার এমন নাম রেখেছিলেন।
সূত্রের খবর, হাতি চলাচলের করিডোরে অবস্থিত হওয়ায় চালের খোঁজে ওই রেশন দোকানটিতে প্রায়ই হানা দিত আরিকোম্বান। শুঁড় দিয়ে দোকানের ধাতব তালা খুলে নিয়মিত চাল চুরি করে খেয়ে যেত সে। তাঁর উৎপাতে এমনিই দোকানটির অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না। গত ১০ দিনে সে নাকি ৪ বার চালের খোঁজে এসেছিল দোকানে। আবার আসতে পারে, সে কথা অনুমান করে সম্প্রতি দোকানের সমস্ত চাল-ডাল অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলেছিলেন দোকানি অ্যান্টনি।
তাঁর অনুমান সত্যি করে শুক্রবার সকালে ফের রেশন দোকানটিতে আসে আরিকোম্বান। কিন্তু খাবার জন্য চাল না পেয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় সে দোকানটিতে। একে তো আগে থেকেই তার অত্যাচারে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল, নতুন করে এই উপদ্রব আর সহ্য করে পারেনি দোকানটি। একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে যায় সেটি।
অ্যান্টনি জানিয়েছেন, চাল ছাড়াও ময়দা এবং চিনি খেতে ভালোবাসতো আরিকোম্বান। তবে সে ছাড়াও চাক্কাকোম্বান এবং মুরলীভালান নামে আরও দুটি হাতি প্রায়ই দোকানে আসত বলে জানিয়েছেন তিনি। একই জায়গায় ফের দোকান করলে আবার সেখানে হাতির পাল হামলা করতে পারে, আশঙ্কা তাঁর।
বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে শুক্রবার অ্যান্টনির রেশন দোকানের পাশাপাশি ভাঙা পড়েছে একটি বাড়িও। তবে বাড়িটিও আরিকোম্বানই ভেঙেছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি তাঁরা।
পদ্মশ্রী প্রীতিকণা! নকশিকাঁথার ফোঁড়েই স্বপ্নপূরণ, দেখুন ভিডিও