Latest News

জ্যোতিবাবুর নামাঙ্কিত ফলক ‘উধাও’, গঙ্গাসাগরের যুব আবাসের নতুন ফলকে মমতা-অরূপ

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মৌলালি যুবকেন্দ্রের সংস্কারের পরও অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। নবান্নের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছিল, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নামের ফলক তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ফলক বসিয়ে দিয়েছে সরকার। মকর সংক্রান্তিতে একই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গঙ্গাসাগরে রাজ্য যুবকল্যাণ দফতরের আবাসে ফলক সরিয়ে দেওয়ার।

সিপিএমের অভিযোগ, ১৯৮৪ সালের ২৪ অগস্ট তৎকালীন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিবদাস ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে গঙ্গাসাগর যুব আবাসের উদ্বোধন করেছিলেন জ্যোতি বসু। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই ফলক হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছে। বদলে বসেছে ২০১৪ সালের তারিখ দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ফলক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ফলকে নাম রয়েছে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসেরও।

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। পরে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।

জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে গঙ্গাসাগরের যুব আবাস সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল মমতা সরকার। তখন যে ফলকটির উন্মোচন করা হয়েছিল, সংস্কার শেষ হওয়ার পর সেটাই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, জ্যোতিবাবুর নামের ফলকটাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সরকারে আসার পর গঙ্গাসাগরকে ঢেলে সাজাতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীর্থকর নেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার দাবি করেছেন। কিন্তু ফলক সরানোয় নানান মহলে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রাক্তন বাম যুবনেতা তথা অধুনা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রভাত চৌধুরী বলেন, “এটাই হচ্ছে পরিবর্তনের সরকারের নমুনা। পুরনো জিনিসে নীল-সাদা রঙের প্রলেপ দিয়ে নিজেদের নামে চালানোর চেষ্টা। এর আগে বাজার সমিতির ভবনের নামও পাল্টে দেওয়ার ঘটনা আমরা দেখেছি। এটা নবতম সংযোজন।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট মোদী-মমতার মধ্যে আসলে কোনও ফারাক নেই। দিল্লির সরকারও ইতিহাস বদলানোর কাজ করছে। এখানেও তাই। কিন্তু জ্যোতিবাবুর নামের ফলক তুলে দিয়ে মানুষের মন থেকে তাঁর নাম মুছে দেওয়া যাবে না।”

You might also like