
মামলাকারী আদালতে বলেছেন, বাংলায় ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর চার মাস কেটে গিয়েছে। এখনও পাঁচ কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও দুই কেন্দ্রের ভোট করানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কোনও হেলদোল নেই। রিট পিটিশনে বলা হয়েছে, এই সাত কেন্দ্রের মানুষ তাঁদের বিধায়ক না থাকার কারণে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আদালত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখুক এবং দ্রুত নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্দেশ দিক। এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারক, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে।
আরও পড়ুনঃ আর্সেনিকে জর্জরিত মুর্শিদাবাদ, সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে সংশয় গবেষণায়
প্রসঙ্গত, গতকালই নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেছে। সেখানে কোভিড পরিস্থিতি, বিভিন্ন রাজ্যের স্থানীয় উৎসবের ছুটিছাটা কবে সে ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়েছে। তা ছাড়া বন্যা ও দুর্যোগজনিত পরিস্থিতির কথাও জানতে চেয়েছে কমিশন। সেখানে রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এখনই ভোট ঘোষণা করলে রাজ্য সরকারের কোনও অসুবিধা নেই।
মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবও জানিয়েছেন, ভোট করার মতো প্রস্তুতি রয়েছে। যা শুনে তৃণমূলের অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এসব তথ্য কমিশন তখনই জানতে চায় যখন ভোট করানোর ব্যাপারে মনস্থির করে। এসবের মধ্যেই এদিন জনস্বার্থ মামলা রুজু হল হাইকোর্টে।