
কৃষক নেতারা এর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আইনগুলি দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখার প্রস্তাবে রাজি নন। তাঁরা চান সরকার অবিলম্বে তিনটি কৃষি আইন বাতিল করুক। এর মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে গাজিপুর থেকে কৃষকদের অবস্থান তুলে দিতে চেয়েছিল যোগী সরকার। কিন্তু বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েতের আবেদনের পরেই পরিস্থিতি পালটে যায়। যে কৃষকরা ফিরে যাচ্ছিলেন, তাঁরা আবার গাজিপুরের দিকে রওনা হন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে আরও হাজার হাজার কৃষক নতুন করে আন্দোলনে যোগ দেন। গত শুক্রবার সিংঘু সীমান্তে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
মোদী বলেছেন, এই অচলাবস্থা কাটাতে সরকার ফের বৈঠকে বসতে তৈরি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি এদিন বলেন, “সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সরকার খোলা মনে কৃষকদের দাবিদাওয়ার কথা বিবেচনা করছে। গত ২২ জানুয়ারি সরকার যে অবস্থান নিয়েছিল, এখনও তা থেকে সরে আসেনি।”
এরপরেই প্রহ্লাদ যোশি বলেন, “কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষক নেতাদের যা বলেছিলেন, এদিন তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কৃষকরা একবার ফোন করলেই সরকার তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে।” সরকার এখনও পর্যন্ত ১১ বার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। শেষবারের বৈঠকের পরে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, “বল এখন কৃষকদের কোর্টে।”
During the All-Party meet PM @narendramodi assured that GOI is approaching the farmers issue with an open mind. PM said GoI’s stand is same as it was on 22nd- proposal by Agriculture Minister still stands. He reiterated what Tomar Ji said – that he is phone call away for talks.
— Pralhad Joshi (@JoshiPralhad) January 30, 2021
আগামী সোমবার সংসদে বাজেট পেশ হবে। তার আগে ২০ টি দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদী। ওই দলগুলি কৃষকদের সমর্থন করেছে। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসা নিয়ে আলোচনা তারা বয়কট করেছিল।
বিরোধীরা ওই হিংসার নিন্দা করেছেন ঠিকই কিন্তু একইসঙ্গে বলেছেন, কৃষকদের আন্দোলনে বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছিল কিনা, তা নিয়ে তদন্ত হোক। কৃষকরাও বলেছেন, লালকেল্লায় ঢুকে পড়া তাঁদের কর্মসূচির অংশ ছিল না। পাঞ্জাবের অভিনেতা দীপ সিধু ওই ঘটনার জন্য দায়ী।