
পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী অত্যাচার করে বলে অভিযোগ করতেন তরুণী। একাধিক বার এ নিয়ে দু’বাড়ির মধ্যে কথাবার্তাও হয়। এক বার তরুণীকে বাড়ি ফিরিয়েও নিয়ে চলে এসেছিল পরিবার। কিন্তু পরে আবার তার স্বামী জবরদস্তি করে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এর পরেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন তরুণী।
পারিবারিক সূত্রের খবর, সকলেই ভেবেছিলেন সমস্যা হয়তো ঠিক হয়ে গিয়েছে। এবার ভাল ভাবে সংসার করবে মেয়ে। কিন্তু তা হয়নি। মেয়ে যে ভাল নেই. তা বারবারই শুনছিলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার বোনকে দেখতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান দাদা। বোনের মুখে এর আগেও তাঁর স্বামীর অত্যাচারের কথা শুনেছিল সে। কিন্তু সেটা যে এই গর্ভবতী অবস্থাতেও এভাবে চলছে, তা ভাবতেও পারেননি তিনি। তাঁর দাবি, তাঁর সামনেই সামান্য ছুতোয় নৃশংস ভাবে বোনকে মারছিল তাঁর স্বামী, গুরুনাথ চৈত্য ভৈর।
বোনকে মারার এমন দৃশ্য স্বচক্ষে দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেননি দাদা। গুরুনাথের মাথা ধরে সিমেন্টের চাঙড়ের ওপর ঠুকে দেয় বারবার। রক্তে ভেসে যায় গোটা মেঝে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় বোনের স্বামী, ৩৮ বছরের গুরুনাথ।
রামু শিনভরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।