
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ দিনাজপুর: এর আগে তিন-তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে প্রত্যেকবারই পরিবারের লোক দেখে ফেলায় প্রাণে বেঁচে যান। অবশেষে চতুর্থবার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) এক পরিযায়ী শ্রমিক (migrant labour)। মৃতের নাম নেপাল শীল (৪৮)। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কুমারগঞ্জ থানার মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবড়ম এলাকায়।
বুধবার সকালে ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, বুধবারই সুরাতে যাওয়ার কথা ছিল নেপালের। মঙ্গলবারই তাঁর স্ত্রী ও ছেলে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা সকলেই সেখানে শ্রমিকের কাজ করবেন। বুধবার যাওয়ার আগে গতকাল দুপুরে গ্রামের বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করেন তিনি। অনেক রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন৷ এরপর আজ সকালেই তাঁর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
তাঁর প্রতিবেশী প্রদীপ শীল জানিয়েছেন, এদিন সকালে তিনি নেপালের বাড়িতে যান কৃষি সামগ্রী নেওয়ার জন্য। সেই সময়ই নেপালের ঝুলন্ত দেহ তাঁর নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সবাইকে গিয়ে খবরটি দেন৷ এরপরই খবর যায় কুমারগঞ্জ থানা। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এবিষয়ে মৃতের আত্মীয় জয়ন্ত শীল বলেন, ‘আজই সুরাতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তিনি আত্মঘাতী হলেন। এভাবে কেন তিনি গলায় দড়ি দিলেন, তার কারণও কেউ বুঝতে পারছেন না।’ তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, ‘নেপাল শীল এর আগেও তিনবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কখনও গলায় দড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, আবার কখনও কীটনাশক খাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে প্রত্যেকবারই বাড়ির লোক দেখে ফেলায় অঘটন হয়নি৷ এবার সত্যিই তিনি আত্মঘাতী হলেন।’
বিয়ের কথা শুনে পালিয়েছেন প্রেমিক, মালদহে যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় প্রেমিকা