Latest News

মুর্শিদাবাদে ‘জবরদস্তি’ জমি নিচ্ছে আদানি, বিদ্যুৎ যাবে বাংলাদেশে, মামলা হল হাইকোর্টে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। চিন্তায় ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। কেন্দ্রীয় সরকার যতই আশ্বাস দিক না কেন দুশ্চিন্তার মেঘ কাটছে না। এই আবহেই বাংলার ফারাক্কায় আদানির গোষ্ঠীর (Adani Group) বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠে গেল। অভিযোগ, জোর করে বিদ্যুৎ প্রকল্পের (Power Project) জন্য জমি নিচ্ছে আদানিরা! জমি অধিগ্রহণ নীতি না মেনেই জমি দখলের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ভুক্তভুগী মানুষেরা।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে মামলা করেন বেশ কয়েকজন। মামলাকারীদের দাবি, তাঁদের জমিই জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাইছে আদানি গোষ্ঠী। যদিও তাঁদের দ্রুত মামলা শুনানির আর্জি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। মামলা গ্রহণ করে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘কত বছর ধরে প্রকল্প চলছে? এতদিন কেন আবেদন করা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাতদিনে এই সমস্যা নতুন করে কিছু বাড়বে না।’

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার আদানি গোষ্ঠীর তৈরি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো এই প্রকল্প শুরু হয়। ঝাড়খণ্ড থেকে বিদ্যুৎ হাই-টেনশন লাইনের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা হয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আদানি গ্রুপ।

গত সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বিদ্যুৎ রফতানির বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। আগামী মার্চ মাস থেকেই ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ যাওয়ার কথা। বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী জোগান কম রয়েছে তাই এই প্রকল্প শুরু হচ্ছে বলে তখন জানিয়েছিল হাসিনা সরকার।

কিন্তু সেই প্রকল্পই মাঝপথে ধাক্কা খেল। ফারাক্কায় আদানির জমি দখল করা নিয়ে কৃষকরা আদালতে ছুটলেন। ফলে আদানির এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে দাঁড়াল। আইনজীবীদের একাংশের কথায়, কলকাতা হাইকোর্টে যদি ফারাক্কার জমি অধিগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয় তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

এলআইসির অফিসারদের গ্রেফতারের দাবি তৃণমূলের, আদানিকে ঋণ দিয়েছ কেন?

You might also like