
স্কুলের রাঁধুনি মিত্রা হাজরা বলেন, ‘‘রোজের মতোই সকাল দশটার সময় রান্নাঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখি, কয়েকটা থালা শুধু পড়ে রয়েছে। ভারী বাসন সব উধাও। হাঁড়ি, গামলা, গ্যাস সিলিন্ডার কিচ্ছু নেই।’’ সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে বিষয়টা জানান তিনি।
শিক্ষকা কেয়া মিত্র জানান, চলতি বছরে এই নিয়ে তিনবার তাঁদের স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটল। এর আগে ছোটদের পড়াশোনার জন্য আনা কম্পিউটার, প্রজেক্টর-সহ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার জিনিস চুরি গেছে। তার আগে আরও একবার রান্নাঘরের বাসনপত্র চুরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সেই চোরকে ধরে বোলপুর থানা বেশকিছু বাসনপত্র উদ্ধার করেছিল। সেই সব বাসন থানা থেকে পেতে অবশ্য অনেক দেরি হয়।’’
এ দিনও বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কেয়াদেবী। তিনি জানান, এই স্কুলে মোট দেড়শো পড়ুয়া রোজ মিডডে মিল খায়। তাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে, দুপুরবেলা যাদের বাবা-মা কাজে থাকায় বাড়িতে রান্না হয় না। আজ তাদের আর ভাত খাওয়া হল না। কোনও মতে জোগাড় করে এনে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে তাদের। কেয়াদেবী বলেন, ‘‘পুলিশ একটু সজাগ হলে এমন ঘটনা বারবার ঘটতে পারে না। আমি বোলপুরের মহকুমা শাসক ও বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটিকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।’’
ছোটদের কবে আবার স্বাভাবিক মিডডে মিল দেওয়া যাবে তা নিয়েও চিন্তিত তিনি। এ দিক পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।