
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী লোকসভা (Lok Sabha) নির্বাচনে দেশের ৬০টি লোকসভা আসনে বিজেপি (BJP) বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। এই আসনগুলিতে হার-জিতে সংখ্যালঘু ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। সংখ্যালঘু প্রভাবিত (minority-dominatedএই আসনগুলির মধ্যে মুসলিমরা সংখ্যায় বেশি। আছে খ্রিস্টান এবং শিখ প্রভাবিত আসনও।
এই ৬০ আসনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আছে ১৩টি করে আসন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কেরল। ওই রাজ্যের খ্রিস্টান ও মুসলিম প্রভাবিত আসন আছে ১০টি। এই ১০ আসনের মধ্যে রাহুল গান্ধীর ওয়ানাড আসনটিও আছে।
আগামী মাস থেকে বিজেপি এই ৬০ আসনে সংখ্যালঘুদের মন জয়ে নানা কর্মসূচি নিতে চলেছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি জানান, আগামীকাল ও পরশু ছত্তীসগড়ের রায়পুরে বসছে সংগঠনের কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রচারের কৌশল নিয়ে কথা হবে। তারপর তিন মাস ধরে চলবে জনসংযোগ অভিযান।

তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বলেছেন, দল ও সরকারের কথা সংখ্যালঘু সমাজের কাছে তুলে ধরতে।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ বাস্তবায়নে তাঁরা কীভাবে এগনোর কথা ভাবছেন? সিদ্দিকি বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের প্রধানের কাছে যাব। সংখ্যালঘু সমাজের বিশিষ্টদের কাছেও যেতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রায়পুরে দুদিন ধরে পরিকল্পনা বৈঠকে প্রচারের বিষয়ে আলোচনা হবে। তাঁর বক্তব্য, আমরা আশাবাদী বিজেপি ও আরএসএস সম্পর্কে সংখ্যালঘুদের ভুল ভাঙাতে পারব। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিজেপি সংখ্যালঘুদের কাছে টানার কথা বলছে। অথচ নির্বাচনে মুসলিমদের টিকিট দেয় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একজনও মুসলিম নেই। লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে দলের চারশোর বেশি সাংসদের মধ্যে একজনও নন। সিদ্দিকি বলেন, এই তথ্য দিয়ে বিজেপিকে মুসলিম বিদ্বেষী বলে চালানোর চেষ্টা ভুল। বিজেপিতে ভোটের টিকিট দেওয়া হয় জয়ের সম্ভাবনা বিচার করে।
সিদ্দিকি জানান, উত্তরপ্রদেশ ও বাংলার ১৩টি করে আসন তাঁদের তালিকায় আছে। বিজেপি সূত্রের খবর, বাংলার ১৩ আসনের মধ্যে আছে, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, দার্জিলিং, বসিরহাট, বীরভূম, উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, ক্যানিং।