
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোট জেলার জাসদান এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে সেখানকার স্থানীয় এক কোচিং সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। আর গিয়ে দেখা যায় কোভিডবিধি শিকেয় উঠেছে। ৫৫৫ জন ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে বসে ক্লাস করছে কোচিংয়ে। সকলেরই বয়স ৯ থেকে ১০ বছর। না আছে তাদের মুখে মাস্ক, না আছে দূরত্ববিধি মানার বালাই।
কোভিডবিধি ভাঙার দায়ে কোচিং সেন্টারের মালিক জয়সুখ সংখালভাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজকোটের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বলরাম মীনা বলেছেন, “আইপিসি এবং মহামারী দুর্যোগ আইনে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হয়েছে। বাচ্চাদেরকে আমরা তাঁদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।”
সূত্রের খবর, ওই কোচিং সেন্টারে হোস্টেলের ব্যবস্থাও রয়েছে। স্থানীয় জওহর নবোদয় বিদ্যালয় এবং বালাচাদি সৈনিক স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বাচ্চাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় সেখানে। গুজরাত সরকারের তরফে কোনওরকম অফলাইন ক্লাসরুমে বসে পড়াশোনা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। সেই সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করেই কোচিং সেন্টার চলছিল বলে অভিযোগ পুলিশের।
কোচিং সেন্টারের মালিক অবশ্য দাবি করেছেন গত ১৫ মে থেকে বাচ্চারা তাঁর কোচিংয়ের হোস্টেলেই থাকছে। এতে তাদের বাবা মায়ের সম্মতিও রয়েছে। বাবা মায়ের কথাতেই তাদের পড়াশোনা করাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।