
পুলিশ জানিয়েছে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিল রাজু। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পানিতার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত দুই দুষ্কৃতী কেদার সর্দার ও বিধান সর্দারকে জেরা করে রাজুর নাম জানতে পারে পুলিশ। তারপর থেকেই তার খোঁজ চলছিল। কিন্তু ঘটনার দিন রাত থেকেই সে গা ঢাকা দেয় । পরে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই ধরা হয় রাজুকে।
সন্দেশখালির খুলনা গ্রামের আতাপুর ফেরিঘাটের কাছে শুক্রবার রাতে তল্লাশি অভিযান গিয়েছিল পুলিশ। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমাও ছোড়ে। বোমা-গুলিতে জখম হন সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দম হালদার, ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি ও সিভিক ভলেন্টিয়ার বাবুসোনা সিংহ। শনিবার বিকেলে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের। ডাক্তাররা জানান, হৃদপিন্ডের আয়োটা ছিঁড়ে যাওয়ার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। তাই শেষপর্ষন্ত আর বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
সন্দেশখালির এই ঘটনা নতুন করে হইচই ফেলে দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। লোকসভা ভোটের পরেও তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। মৃত্যু হয় বিজেপির দুই কর্মীর।একজন এখনও নিখোঁজ। এ বার দুষ্কৃতী হামলার শিকার খোদ পুলিশ।