
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ডায়মন্ডহারবারের (Diamond Harbour) সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হটুগঞ্জ। তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষে (TMC-BJP Clash) বাড়ি, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বহু বাইক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। নতুন করে আর উত্তেজনা ছড়ায়নি। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ বেছে বেছে শুধু তাদেরই কর্মী-সমর্থকদের ধরা হয়েছে। তৃণমূলের যারা শনিবারের অশান্তির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শনিবার দুপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডায়মন্ডহারবার পোর্ট ট্রাস্টের মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশ করেন। কিন্তু তার আগে সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানান জায়গায় পথ অবরোধ শুরু হয়। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের সভায় আসতে বাধা দিতেই পরিকল্পিতভাবে পথ অবরোধ করেছে তৃণমূল। এদিকে তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদেই পথ অবরোধ করেছে সাধারণ মানুষ।
এই নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই শুভেন্দুর সভাস্থল থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে হটুগঞ্জে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। রাস্তার কাছে থাকা বাড়ি, দোকানে আগুন লাগানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বহু বাইক। তৃণমূল অভিযোগ করে, এলাকার মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শনিবার রাতেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। রবিবার সকালেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫, ৩২৬, ৩৩২ ধারা সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাটুর দাবি, বেছে বেছে তাঁদের কর্মীদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। এই নিয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান। এদিকে তৃণমূলের দাবি, তাদের দলের কেউ হটুগঞ্জের সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত নয়। পথ অবরোধের সম্মুখিন হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাই আমজনতার বাড়ি, দোকানে হামলা করে।
এদিকে ধৃতদের আদালতে তোলার সময় সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে স্লোগান তোলা হয়।
শেষ পাওয়া খবর, ধৃত ৪৪ জনের মধ্যে চারজনের দু’দিনের পুলিশ ও সাতজনের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি ৩৩ জনের ১৪ দিনের জেলে হেফাজত হয়েছে।
সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা তমলুকে, বচসায় জড়াল বিজেপি-তৃণমূল