
দ্য ওয়াল ব্যুরো : দেশ জুড়ে ওমিক্রন আতঙ্কের (Omicron Scare) মধ্যে শনিবার ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার (Frontline Worker) ও ষাটোর্ধ্বদের জন্য ‘প্রিকশান ডোজ’-এর (Precaution Dose) কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার সকালে জানা গেল, ভারতে এখন ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২২। কোভিডের ওই ভ্যারিয়ান্টে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২ জন। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ জন। সেরে উঠেছেন ২৩ জন। গুজরাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন। সেরে উঠেছেন ১০ জন।
দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে তেলঙ্গানায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। তাঁদের মধ্যে সেরে উঠেছেন ১০ জন। কেরলে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। সেরে উঠেছেন একজন। তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত ৩৪ জন। এখনও কেউ সেরে ওঠেননি। কর্নাটকে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। সেরে উঠেছেন ১৫ জন।
পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ছয়। হরিয়ানা, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন করে। জম্মু-কাশ্মীরে তিনজন, উত্তরপ্রদেশে দু’জন এবং লাদাখে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
নভেম্বরের শেষে প্রথমবার ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। ২৬ ডিসেম্বর সকাল অবধি ওই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন ১৩০ জন। রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৮৭ জন। অতিমহামারী শুরু হওয়ার পরে দেশে ওই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮০২। এখন দেশে অ্যাকটিভ কোভিড কেসের হার ০.২২ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের পরে কোভিড আক্রান্তের এই হার সবচেয়ে কম।
বড়দিনের রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ফ্রন্টলাইন হেলথ ওয়ার্কারদের ‘প্রিকশন ডোজ’ দেওয়া হবে। তিনি ‘বুস্টার ডোজ’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এছাড়া ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথাও তিনি ঘোষণা করেছেন।