Latest News

২০২০ সালে শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ বেড়েছে ৪০০ শতাংশ

দ্য ওয়াল ব্যুরো : ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ (cyber crime) বেড়েছে চারগুণ। এমনই জানাল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরা শিশুদের পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহার করেছে। যে পাঁচটি রাজ্যে শিশুদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধ ঘটেছে, তাদের শীর্ষে আছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে সাইবার অপরাধের ১৭০ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া কর্নাটকে করা হয়েছে ১৪৪ টি মামলা, মহারাষ্ট্রে হয়েছে ১৩৭ টি মামলা, কেরলে হয়েছে ১০৭ টি মামলা এবং ওড়িশায় হয়েছে ৭১ টি মামলা।

গতবছর শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের মোট ৮৪২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭৩৮ টি ক্ষেত্রেই শিশুদের ব্যবহার করা হয়েছে পর্নোগ্রাফিতে। ২০১৯ সালে শিশুদের বিরুদ্ধে ঘটা সাইবার অপরাধের সংখ্যা ছিল ১৬৪। ২০১৮ সালে ১১৭ টি সাইবার অপরাধ ঘটেছিল। ২০১৭ সালে ওই ধরনের অপরাধের সংখ্যা ছিল ৭৯। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে যেভাবে সাইবার অপরাধ বেড়েছে, তা উদ্বেগজনক।

চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ (ক্রাই) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সিইও পূজা মারওয়াহা বলেন, শিশুরা এখন অনলাইন শিক্ষায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আরও নানা কারণে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে আগের চেয়ে বেশি। এর ফলে তারা নানা ধরনের বিপদের মুখে পড়ছে। অনলাইনে যৌন হেনস্থার মুখেও পড়ছে অনেক শিশু। এছাড়া রয়েছে সাইবার বুলিইং, অনলাইন হ্যারাসমেন্ট এবং সাইবার ভিকটিমাইজেশনের মতো অপরাধ।

ক্রাই-এর সিইও বলেন, “অতিমহামারী পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের ওপরে শিশুদের নির্ভরতা বেড়েছে সন্দেহ নেই। তার ফলে অনলাইন অ্যাবিউজের ঝুঁকি কী পরিমাণে বেড়েছে, তার মূল্যায়ন এখনও করা হয়নি।”

২০২০ সালে ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২৫ বছরের কমবয়সীদের ১৩ শতাংশ বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। ভারতে ঠিক কত সংখ্যক শিশু শিক্ষার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে এখনও তার সংখ্যা জানা যায়নি। ইউনিসেফ জানিয়েছে, কোভিড অতিমহামারীর সময় ভারতের ১৬ টি প্রদেশের ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ শিশু দূরশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করেছে। অনেকে অনলাইনে অথবা রেডিও-র মাধ্যমে ক্লাস করেছে।

পূজা মারওয়াহা বলেন, লকডাউনের ফলে শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনি। ফলে তাদের সামাজিক মেলামেশা কমে গিয়েছে। এর প্রভাব তাদের মনের ওপরে পড়া বিচিত্র নয়। পূজার কথায়, “শিশুরা একাকীত্ব, মুড ডিসওর্ডার বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের শিকার হতে পারে”।

You might also like