
করোনার জন্য এতদিন টোকেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। স্মার্টকার্ডই ছিল একমাত্র ভরসা। যাঁদের স্মার্ট কার্ড ছিল না, তাঁরা সমস্যায় পড়ছিলেন। এখন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সুপারিশে ফের টোকেন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মেট্রোয়। উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোয় টোকেন পরিষেবা ফিরছে আজ থেকেই।
কাউন্টার থেকে পুরনো নিয়ম মেনেই টোকেন কেনা যাবে। তাছাড়া অটোমেটিক স্মার্টকার্ড রিচার্জ মেশিন থেকেও কেনা যাবে টোকেন। অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন, টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকেও টোকেন কেনার ব্যবস্থা থাকছে।
টোকেন ব্যবহার হলে সংক্রমণ বৃদ্ধি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ইতিমধ্যেই ৪০টি স্যানিটাইজার মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনগুলিতে আলট্রাভায়োলেট বা অতি বেগুনী রশ্মি দিয়ে টোকেন জীবাণুমুক্ত করা হবে। প্রতিটি মেট্রো স্টেশনে এমন মেশিন বসানো হয়েছে।
মেট্রো আধিকারিক বলছেন, যে সব স্টেশনগুলিতে ভিড় বেশি হয় সেখানে স্যানিটাইজার মেশিন বসানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪০টি মেশিন বিভিন্ন স্টেশনে ইনস্টল করা হয়েছে। টোকেনগুলি সংগ্রহ করে এই মেশিনে মাত্র ৪ মিনিট রাখলেই তা পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনা-পূর্ব পরিস্থিতিতে মেট্রোয় দৈনিক হাজারখানেক টোকেন খোয়া যেত। সে সময়ে ৫০ শতাংশ যাত্রী স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করলেও বাকিরা টোকেন ব্যবহার করতেন। তাই দৈনিক কয়েক লক্ষ যাত্রীর জন্য ব্যস্ত সময়ে বিভিন্ন স্টেশনে টোকেনের জোগান ঠিক রাখার পাশাপাশি, বুকিং কাউন্টারে পর্যাপ্ত খুচরো টাকার জোগানও রাখতে হত। বিশেষ দিনে কাউন্টার চালাতে বেশি সংখ্যক কর্মীও লাগত। টোকেন চালু হওয়ার পরে ফের ভিড় বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করাও হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্টেশনে ভিড় বাড়লে দুটো করে মেশিন বসানোর ভাবনাচিন্তাও করা হচ্ছে। মেট্রো আধিকারিকরা যাত্রীদের করোনাবিধি মেনে চলতে বলছেন। অযথা ভিড়, ধাক্কাধাক্কি এড়িয়ে পারস্পরিক দূরত্ব যতটা সম্ভব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে।