
এতদিন যেভাবে প্যান-আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে, সেভাবেই একজন ভোটারের ভোটদানের কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড জুড়ে দেওয়া যাবে। তবে প্যান-আধার লিঙ্কিং যেমন বাধ্যতামূলক, এটি তা নয়। এটা স্বেচ্ছামূলক অর্থাত চাইলে কেউ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার রায়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে।
আধার, ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত যে পাইলট প্রকল্প তারা চালিয়েছে, তাতে খুবই ইতিবাচক সাড়া, বড় সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই পদক্ষেপের ফলে জাল ভোট বন্ধ হবে, একই লোকের দুবার ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, ভোটার তালিকা সুরক্ষিত থাকবে বলে কমিশনের দাবি।
আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। তা হল ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার একাধিক সুযোগ থাকবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১৮ বছরে পা দেওয়া যে ছেলেময়েরা জীবনে প্রথমবার ভোট দেবেন, তাঁরা বছরে চারবার নাম তোলার সুযোগ পাবেন। চারটি ভিন্ন কাট অফ ডেট থাকবে। বর্তমানে বছরে একবারই ভোটার লিস্ট নাম তোলার সুযোগ পান নতুন ভোটাররা।
ভোটের আইনকে লিঙ্গ নিরপেক্ষ করার উদ্যোগও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সার্ভিস অফিসারদের ক্ষেত্রে এবার থেকে কোনও মহিলা অফিসারের স্বামী ভোট দিতে পারবেন। চলতি আইনে কেবলমাত্র কোনও পুরুষ সার্ভিস অফিসারের স্ত্রীই ভোট দেওয়ার সুযোগ পান, মহিলা সার্ভিস অফিসারের স্বামীর সেই সুযোগ নেই।
এছাড়া ভোটের কাজে স্কুল, কলেজ বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ ভবন কমিশন নিয়ে নিলে নানা মহল থেকে আপত্তি ওঠে। সরকার কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজনে যে কোনও ভবন নিয়ে নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে। সূত্রের খবর, এহেন নির্বাচনী সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলি সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে।