অস্ট্রিয়া থেকে ডেভিড লামা (২৮) ও হ্যান্সজার্গ আউয়ের (৩৫) এবং আমেরিকা থেকে জেস রসকেলি (৩৬) ওই অভিযানে গিয়েছিলেন। পর্বতারোহণের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সুপরিচিত ব্র্যান্ড ‘দ্য নর্থ ফেস’-এর হয়ে এবারের অভিযান শুরু করেছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, হাউস শৃঙ্গের দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ পূর্ব দিক দিয়ে চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। খুব কম অভিযাত্রীই শৃঙ্গ আরোহণের জন্য ওই পথ বেছে নেন।
শুক্রবার তিন পর্বতারোহী নিখোঁজ হওয়ার খবর জানার পরেই ন্যাশনাল পার্কের কর্মীরা হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন উদ্ধারকারী দল-সহ। তাঁরা খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ অর্ধ সম্পন্ন রেখেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। জানিয়েছেন, হাউস পিকের পূর্ব দিকের ওই আরোহণ পথে মারাত্মক তুষার ধস নেমেছে বলে দেখেছেন তাঁরা। এবং সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পর্বতারোহণের সরঞ্জামও দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু সব দেখেও, মারাত্মক খারাপ আবহাওয়ার কারণে এখনই সেখানে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব না।
ডেভিড লামা।
এক উদ্ধার-কর্মী জানিয়েছেন, অ্যাভালাঞ্চটা বিশাল ছিল। একটি বহুতলকে চেঁচে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ওই তুষার ধস।
স্থানীয় পর্বতারোহণ মহল সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরেই আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। খারাপ আবহাওয়ায় তুষার ধস নামার আশঙ্কাও ছিল। তারই শিকার হয়েছেন ওই তিন আরোহী। এখন উদ্ধারকাজ চালানোর ঝুঁকিও অনেক বেশি। যে কোনও সময়ে ফের তুষার ধস নামতে পারে।
হ্যান্সজর্গ আউয়ের।
নিখোঁজ জেস রসকেলির বাবা জন রসকেলি জানিয়েছেন, জেসের এবং তাঁর সঙ্গীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে হচ্ছে তাঁর। জনও অন্যতম বিখ্যাত এক পর্বতারোহী। তিনি বলেন, “ওরা যে পথে সামিট অ্যাটেম্পট (শৃঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টা) করেছিল, সেটা প্রথম ২০০০ সালে আরোহণ হয়েছিল। এটা এমনই একটা রুট, যেখানে সামান্যতম আবহাওয়ার গোলযোগও বড় দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেটাই হল!”
জেস রসকেলি।
২০০৩ সালে জন এবং জেস একসঙ্গে বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ এভারেস্ট আরোহণ করেছিলেন। বাবা-ছেলের এই জুটিকে অভিবাদন জানিয়েছিল সারা বিশ্ব। ২০ বছরের জেস রসকেলি সব চেয়ে কম বয়সে এভারেস্ট ছোঁয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন সেই বছর।