
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: শনিবার কাঁথির সভায় যাওয়ার সময় হঠাৎই কাঁথি-৩ ব্লকের মারিশদার (Marishda) একটি গ্রামে ঢুকে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে সামনে পেয়ে নানা অভাব-অভিযোগের কথা জানান গ্রামবাসীরা। তাঁদের কেউ আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি, আবার কেউ সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পাচ্ছেন না। সেইসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রেশন থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও ছিল। সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কাঁথির সভায় পৌঁছন অভিষেক।
এর পরে মঞ্চ থেকেই মারিশদা-৫ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে দ্রুত ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। দলের সাধারণ সম্পাদকের সেই নির্দেশ মেনে রবিবারই পদ ছাড়ার কথা জানালেন ওই তিনজন (3 TMC Leaders Resigned)।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি। সেখানে ঠিক হয়, দলের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশমতো অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র, পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল ও উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল ইস্তফা দেবেন।
ওই বৈঠকেই জেলা সভাপতির হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। বাইরে বেরিয়ে তিনি দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশও করেন। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান ওই সভায় ইস্তফা দেননি, যা নিয়ে জল্পনা ছড়ায়।
যদিও পরে দলের জেলা সভাপতিকে মেল করে প্রধান ও উপপ্রধান দু’জনেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তাঁরা প্রশাসনিক পদে থাকায় আসল ইস্তফা বিডিও-র কাছে দিতে হবে। রবিবার প্রশাসনিক কাজ হয় না। তাই সোমবার বিডিও অফিসে গিয়ে প্রধান ও উপপ্রধান ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন অশোক বানিয়া। রবিবার তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানালেন তা নিয়ে প্রশ্ন করছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, কেউ হুমকি দিলে পুলিশে অভিযোগ জানান। প্রশাসন ও দল ব্যবস্থা নেবে।
আতসবাজি নাকি বোমা, কী তৈরি হচ্ছিল ভূপতিনগরে! মুখ খুললেন মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী, ভাই