
পূর্ব বর্ধমানের তাঁতখণ্ডের চাষি শেখ জামালউদ্দিনের ছেলে নূর মহম্মদ কর্মসূত্রে থাকেন পাঞ্জাবে। বাড়ি ফেরার সময় তিনি নিয়ে এসেছিলেন কলাবতীর বীজ। “ছেলের আনা বীজ বসিয়েছিলাম গতবারও। খুব সুন্দর ধান। চাল একেবারে নরম আর মিষ্টি। খানিকটা মিনিকেটের মতো। সব থেকে বড় কথা এই ধান একেবারে দেশি। এত ভালো লেগেছে যে এ বার আবারও চাষ করলাম।” বললেন জামালউদ্দিন।
তিনি জানান, এ ধানের উৎপাদন খরচও খুব বেশি নয়। রাসায়নিক সারও কম লাগে। ধান রোয়ার পর কম-বেশি ৭৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা হয়। ফলন বিঘেতে গড়ে ১২ বস্তা। প্রথমবার ছেলের আনা বীজ এক রকম আবেগেই বসিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ বার মাথায় রেখেছেন বাণিজ্যিক স্বার্থও।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক কৃষিবিজ্ঞানী সৌমেন বেরা বলেন, “পাঞ্জাবে এই কলাবতী ধানের ফলন খুব ভাল হয়। তবে এই রাজ্যে কলাবতী ধানের চাষ আগে কেউ করেছেন বলে শুনিনি। বর্ধমানে ওই কৃষক একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ধান করেছেন। এই ধান গাছের পাতায় অ্যান্থাসায়ানিন থাকে বলে এর রঙ বেগুনি হয়। বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় এই ধানের চাষ হয় বলে শুনেছি। গুণগত মান খুবই ভালো।”
রাজ্য সরকারও এই ধান চাষে উৎসাহিত করুক চাষিদের, চাইছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। সে দিকে না তাকিয়ে শেখ জামালউদ্দিন অবশ্য আপাতত এগোচ্ছেন একাই। তবে চাইছেন, তাঁকে দেখে এগিয়ে আসুক অন্যরাও।